নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর॥ দীর্ঘদিন পর মাদারীপুরে ঐতিহ্যবাহী বন্যপ্রাণী বানরকুলের জন্য খাদ্য কর্মসুচীর (প্রথম পর্যায়ে ৭৬দিনের) খাবার বরাদ্দ হয়েছে। সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন সদর উপজেলার চরমুগরিয়ার বিভিন্ন স্থানে কলা, গাজর, শশা দেওয়া শুরু হয়েছে। এসময় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সদস্যসহ জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এ খাবার আগামী ৩ বছর চলবে বলে বন কর্মকর্তা জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের মেসার্স ঝলক বিজনেস সেন্টার নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারী বরাদ্দকৃত এই খাবার চরমুগরিয়া ইকোপার্ক এলাকাসহ শহরে ঘুরে ঘুরে বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চরমুগরিয়ার বানরকে খাওয়ানো হয়।
মাদারীপুর জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা তাপস কুমার সেনগুপ্ত বলেন, “চরমুগরিয়া এলাকায় অনেক বানর রয়েছে যা ঠিকমত খেতে পারতো না। তারা মানুষের দোকানপাট ও বাড়িঘরে হানা দিয়ে বা চুরি করে খেতো। তা আসলে এদের জন্য যথেষ্ট ছিল না। এমন কি মানুষদের বিরক্ত করে বেড়াত। বানরের অত্যাচারে শহরবাসী অতীষ্ট হয়ে উঠেছে। তাই সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমানে ৭৬দিনের খাবারের কর্মসুচী পেয়েছি। আগামী ৩ বছরের জন্য আমরা বরাদ্দ পাবো বলে জানতে পেরেছি। এর ফলে চরমুগরিয়ার ইকোপার্কের ভেতরে বনায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সকল বানর স্থানান্তর করতে পারবো।”
