ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নববধূ হত্যা মামলার নারী আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০১:৪০, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

নববধূ হত্যা মামলার নারী আসামি গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা ॥ কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের গামুরীবুনিয়া গ্রামের স্বামী বাবুল হাওলাদারের হাতে নববধূ চম্পা হত্যা মামলার অন্যতম নারী আসামি কহিনুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে বরগুনার তালতলী বাসষ্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ মঙ্গলবার পুলিশ তাকে কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। অপর গ্রেফতারকৃত আসামি কুদ্দুস হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। আদালতের বিচারক সোভন শাহারিয়ার মঙ্গলবার শুনানী দিন ধায্য করেছেন। জানাগেছে, পয়েলা জানুয়ারী তালতলী উপজেলার কলারং গ্রামের চাঁন মিয়া সিকদারের কন্যা চম্পাকে পার্শ্ববর্তী কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের গামুরীবুনিয়া গ্রামের কাদের হাওলাদারের ছেলে বাবুলের সঙ্গে বিয়ে হয়। গত ১৫ জানুয়ারী (বুধবার) নববধূকে তুলে নেয়ার কথা ছিল। ১২ জানুয়ারী (রবিবার) রাতে স্বামী বাবুল হাওলাদার শ্বশুরবাড়িতে এসে নববধূ চম্পাকে বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে নববধূ চম্পা ও তার স্বামী বাবুল নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় চম্পার বাবা চাঁন মিয়া সিকদার গত ১৪ জানুয়ারী তালতলী থানার জামাতা বাবুলের বিরুদ্ধে সাধারণ ডারেয়ী করেন। নিখোঁজের ১০ দিন পরে গত বুধবার (২২ জানুয়ারী) নববধূ চম্পার মরদেহ কলাপাড়া থানা পুলিশ জামাতা বাবুল হাওলাদারের বাড়ীর সন্নিকটে বিলের মধ্যে মাটি চাপা দেয়া অর্ধ-গলিত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে। ওইদিনই এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কুদ্দুস হাওলাদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার রাতে এ ঘটনার অন্যতম নারী আসামি ঘাতক বাবুল হাওলাদারের প্রথম স্ত্রী কোহিনুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে তালতলী থানা ওসি শাহিনুর রহমানের ছেড়ে দেয়া আসামি মাহবুব গাজীকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নিহত চম্পার বাবা চান মিয়া সিকদারের অভিযোগ আসামি মাহবুব গাজীকে তালতলী থানা পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে গেলে ওসি শেখ শাহিনুর রহমান কোন জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই অজ্ঞাত কারনে তাকে ছেড়ে দেয়। ওই আসামিকে এখনো গ্রেফতার করতে তালতলী থানা পুলিশ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, নববধূ চম্পার হত্যা মামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামি কোহিনুরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি কুদ্দুসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। তালতলী থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, চম্পা হত্যা মামলা হয়েছে কলাপাড়া থানায়। কলাপাড়া থানার ওসির সাথে যোগাযোগ রেখে আসামি মাহবুবকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
×