ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল উদ্বোধন

প্রকাশিত: ১১:১০, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল উদ্বোধন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দেশের প্রধান কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিনন্দন মুর‌্যাল উদ্বোধন করলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। সোমবার সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই মুর‌্যালের উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন বলেই দেশে কৃষি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। যার ফলে দেশ আজ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ সময় কৃষিমন্ত্রী দেশের কৃষি খাতে বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণ করতে গিয়ে বলেন, দেশে কৃষি গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করতে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডিন্যান্স নং ৩২ নামে একটি অধ্যাদেশ জারি করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকার ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি অভিভাবক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। অথচ ওই স্থানে একটি পাঁচ তারকা হোটেল স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ওই সময়ে বঙ্গবন্ধু শুধু সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি, তিনি দেশবাসীকে কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ করেন। ফলে ক্ষুধা দুর্ভিক্ষের দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ আজ সমৃদ্ধির পথে। বাংলাদেশ আজ স্বপ্ন দেখছে পৃথিবীর একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হওয়ার। সোমবার বিকেলে এই ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে। একই সঙ্গে গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) চত্বরেও এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট চত্বরের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। এ সময় দেশের প্রবীণ কৃষিবিজ্ঞানী ড. কাজী বদরুদ্দোজা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমানসহ কৃষিবিজ্ঞানীরা উপিস্থিত ছিলেন। আর ঢাকায় ডিডিও কনফারেন্স সভা পরিচালননা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ২২ লাখ কৃষক পরিবারকে পুনবার্সন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে কৃষকদের বীজ, সার কীটনাশক দিয়েছিলেন। শিক্ষিত যুবকদের গ্রামে ফিরে গিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করার প্রেরণা দিয়েছিলেন। দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন যাতে এক ইঞ্চি মাটিও অনাবাদি না থাকে। বঙ্গবন্ধুই সর্বপ্রথম গ্রামের দরিদ্র বৃদ্ধ মানুষের জন্য ক্ষুদ্রঋণ প্রথা চালু করেছিলেন। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ধান, পাট, আখসহ কৃষিপণ্যের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধুর আগ্রহেই গাজীপুর কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। যে প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত ৫৫৮টি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন এবং ৫৩১টি ফসল উৎপাদনে প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এ প্রতিষ্ঠানটি এসডিজি-২ এর ৫টি লক্ষ্য অর্জনে ইতোমধ্যে ৬৫টি প্রকল্প চিহ্নিত করেছে। এই কর্মসূচীগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের আপামর জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে এবং ২০২১ সালের মধ্যে দেশ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে সহায়ক হবে। বক্তৃতা শেষে কৃষিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের উদ্বোধন করেন। এ সময় বিএআরআই চত্বরে পর্দা দিয়ে ঢাকা ম্যুরালটি উন্মুক্ত করা হয়। এ সময় আবুল কালাম আজাদ জানান, দুই দিক থেকেই ম্যুরালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি দেখা যায়। আর ম্যুরালের পাশে দুটি দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা নির্মাণ করা হয়েছে। এই দুটি ফোয়ারা থেকে নিয়মিত পানি ঝরছে। রাতে ম্যুরালটি বিভিন্ন রং ধারণ করে। তিন কোটি টাকার কাঁচামাল উদ্ধার, গ্রেফতার ৫ স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর থেকে জানান, গাজীপুরে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ডাকাতি হওয়া ওষুধ তৈরির তিন কোটি টাকার কাঁচামাল সোমবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- আব্দুস সালাম (৫৩), সগির হাসান শুভ (২২), হাসান (৩৩), বিল্লাল (৪০) ও ওয়াহিদ (৪২)। স্কয়ার ফার্মার হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের নির্বাহী মোঃ ফরিদুল ইসলাম জানান, পুলিশ লুণ্ঠিত ২৬৯ ড্রামের মধ্যে ২০৯ ড্রাম কাঁচামাল উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত মালের বাজার মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। ওষুধ তৈরির ৬০ ড্রাম কাঁচামাল এখনও মিসিং রয়েছে। এই ড্রামগুলোতে এ্যান্টিবায়োটিক ও মেটফরমিন জাতীয় ওষুধের কাঁচামাল ছিল।
×