ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপনে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হচ্ছে

প্রকাশিত: ১১:০৮, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপনে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হচ্ছে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র (ডে-কেয়ার সেন্টার) স্থাপনে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। পাশাপাশি শিশুদের নিরাপত্তার ঘাটতিতে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে একটি আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া মন্ত্রিসভা লক্ষ্মীপুর ও বগুড়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে ‘লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন- ২০’ ও ‘বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে ড. ইউনূসের কর্মকা- নিয়ে আলোচনা হয়। এক সিনিয়র মন্ত্রী আলোচনার সূত্রপাত করলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে তার কার্যক্রম শুরুর সময় ড. ইউনূসকে অনেক সহযোগিতা করা হয়েছে। পরবর্তীতে তার ভূমিকা দেশবাসী দেখেছে। বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র স্থাপনে নিবন্ধন পরিদফতর থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। তিন বছরের জন্য নিবন্ধন দেয়া হবে। অন্যসব বিষয় বিধি দিয়ে বিস্তারিত বলে দেয়া হবে। তিনি জানান, নিবন্ধন না করে শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র স্থাপন করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। সনদ প্রদর্শন না করা পর্যন্ত প্রতিদিন পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা গুণতে হবে। এছাড়া শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র পরিদর্শনে বাধা দিলে ৫০ হাজার টাকা এবং দিবাযতœ কেন্দ্রে শিশুর নিরাপত্তা ঘাটতি থাকলে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আইনটির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিশুদের পরিচর্যার জন্য বিশ্বস্ত সহায়ক সেবাযতœ কেন্দ্রের অভাব পরিলক্ষিত হওয়ায় এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। যেহেতু এখন যৌথ পরিবার প্রথাটা একটু কমে আসছে এবং নারীরা বেশি করে কাজে ইনভলভ হয়ে যাচ্ছেন সেজন্য তাদের ছোট বাচ্চাদের দেখাশোনার জন্য শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনে চার ধরনের শিশু দিবাযতœ কেন্দ্রের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো-সরকারী ভর্তুকিপ্রাপ্ত সরকার অথবা সরকারী কোন দফতর, অধিদফতর, পরিদফতর, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা অথবা কোন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা কর্তৃক বিনামূল্যে পরিচালিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক উদ্দেশে পরিচালিত এবং ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, বেসরকারী সংস্থা বা সংঘ বা সমিতি বা কর্পোরেট সেক্টর বা শিল্পখাত কর্তৃক অলাভজনক উদ্দেশে পরিচালিত। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিশু দিবাযতœ কেন্দ্রের সেবা পুষ্টি স্বাস্থ্য নিরাপত্তা চিকিৎসা সুরক্ষা বিনোদন, শিক্ষা, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বা অনুরূপ বিষয়গুলোর নির্ধারিত মান বিধি দিয়ে নিশ্চিত করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্য আলাদা জায়গা রাখতে হবে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্যও দিবাযতœ কেন্দ্রে বিশেষ অবকাঠামো সুবিধা রাখতে হবে। প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন লক্ষ্মীপুর ও বগুড়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। এজন্য ‘লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ’২০’ ও ‘বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ’২০’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন দুটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হলে দেশে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫২। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত সম্মতির প্রেক্ষিতে লক্ষ্মীপুর জেলায় লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বগুড়া জেলায় বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য দুটি আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়। দুটি খসড়া আইনে ৫৫ ধারা রয়েছে। উভয় আইনে ৫৫ ধারা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আচার্য, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ সিন্ডিকেট একাডেমিক কাউন্সিল অর্থ কমিটিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আইনে বিস্তারিত বলা আছে। উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খসড়া আইনে ২১ অনুচ্ছেদ সংবলিত প্রথম সংবিধির খসড়াও যুক্ত করা হয়েছে।
×