ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মুজিববর্ষে ২১ লাখ নিরক্ষরকে মৌলিক সাক্ষরতা দেওয়া হবে : সংসদে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ২৭ জানুয়ারি ২০২০

মুজিববর্ষে ২১ লাখ নিরক্ষরকে মৌলিক সাক্ষরতা দেওয়া হবে  : সংসদে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন সংসদে জানিয়েছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’-এ মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ২১ লাখ নিরক্ষর নারী-পুরুষকে মৌলিক সাক্ষরতা দেওয়া হবে। এরমধ্যে অর্ধের নিরক্ষর নারীদের অন্তর্ভূক্ত করা হবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি একথা জানান। প্রতিমন্ত্রী জানান, সাক্ষরতার হারে পুরষের চেয়ে নারীরা শতকরা ৫ ভাগ পিছিয়ে আছে। বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। তিনি আরো জানান, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বয়স্কদের সাক্ষরতা বৃদ্ধি জরুরী। সে জন্য বয়স্কদের সাক্ষরতায় বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের লিখিত জবাবে জাকির হোসেন জানান, নতুন জাতীয়করণ করা সরকারি প্রাথমিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে যথাক্রমে ২ হাজার ৪০০ ও এক হাজার ৫০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ উন্নয়নের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। সরকারি দলের আরেক সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, চলতি বছর দেশে প্রাথমিক স্তরে ভর্তির হার ৯৭ দশমিক ৭৪ ভাগ। বিদ্যালয় গমনোপযোগী শতভাগ শিশুকে ভর্তির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে তাদেরকে পাঠদানে সম্পৃক্ত করতে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জানান, এর ফলে দেশে বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী প্রায় শতভাগ শিশুকে ভর্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদেরও বিদ্যালয়ে অবস্থান নিশ্চিত করতে এ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণসহ ইনক্লুসিভ এডুকেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
×