ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেখের বেটির উছিলায় শেষ বয়সে শান্তিতে ঘুমাইতে পারছি

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ২৭ জানুয়ারি ২০২০

শেখের বেটির উছিলায় শেষ বয়সে শান্তিতে ঘুমাইতে পারছি

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা ॥ শেখের বেটির উছিলায় মুই শেষ বয়সে পোলা-বউ ও নাতনি লইয়্যা শান্তিতে ঘুমাইতে পারছি। মুই হারা জীবন ভাঙ্গা নারার ঘরে রইছি। বইন্ন্যা আর দেউইতে মোর জীবন কাটছে। এ্যাহন শেখের বেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোরে থাহার লইগ্যা একটা ইডের ঘর দেছে। হেই ঘরে মুই পোলা-বউ ও তিনডা নানতি লইয়্যা থাহি। এ্যাহন আর মোর দেওইয়্যার ডর নাই। শীতে আর কষ্ট হরতে অয়না। মুই শেখের বেটির জন্য দোয়া হরি যেন আল্লায় হ্যারে অনেক বচ্ছর বাচাইয়্যা রাহে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিল থেকে ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে এ কথা বলেছেন, আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের ১২০ বছর বয়সি বৃদ্ধা সেরাতুন নেছা। তিনি আরো বলেন, মোগো চেয়ারম্যান বাদল ব্যাডার লইগ্যাও মুই দোয়া হরি। হে মোরে ভাতা দেছে, হ্যারপর ঘরের নাম দেছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানাগেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিল থেকে আমতলীতে সাতাত্তর লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে টিআর কাবিখা প্রকল্পের আওতায় দূর্যোগ সহনীয় ৩০ টি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। সাতটি ইউনিয়নের ৩০ টি হতদরিদ্রদের পরিবারের মাঝে এ ঘর গুলো দেওয়া হয়। প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে দুই লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা। পাকা টিন শেডের এ ঘরে রয়েছে দুইটি থাকার ঘর, রান্নাঘর ও স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট। একটি ছোট পরিবারের জন্য উপযুক্ত থাকার ঘর। প্রধানমন্ত্রীর ভালো উদ্যোগের ফলে উপজেলার ৩০ টি হতদরিদ্র পরিবার মাথা গোঁজার ঠাই পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে উপজেলার সমুদয় হতদরিদ্র পরিবারগুলোকে এ গৃহ নির্মাণের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক। সোমবার উপজেলার আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া ও চাওড়া ইউনিয়নে সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, হতদরিদ্র মানুষগুলো প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পেয়ে খুবই আনন্দিত। তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধি হতদরিদ্র মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, মোগো চেয়ারম্যান মোর মায়রে একটা ঘর দেছে। মুই মোর মায়রে লইয়্যা হেই ঘরে থাহি। আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের দরিদ্র লতিফ চৌকিদার ও নাশির দর্জি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেয়া দূর্যোগ সহনীয় ঘরে খুব সুখে শান্তিতেই বসবাস করছি। কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার বলেন, আমার ইউনিয়নের পাঁচটি হতদরিদ্র পরিবারকে দূর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। ওই ঘরে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোভাবে বসবাস করছে। আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মফিজুল ইসলাম বলেন, গত অর্থ বছরের উপজেলায় ৩০ টি হতদরিদ্র পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। নির্মাণ শেষে ওই ঘরগুলো তাদের হাতে হস্তান্তর করা হয়। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ একটি ভালো উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে উপজেলায় বাছাই শেষে ৩০ টি হতদরিদ্র পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। ওই ঘর গুলোতে মানুষ খুব সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী উপজেলার সকল হরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবারগুলোকে দূর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণের আওতায় আনা হবে। তিনি আরো বলেন, আসছে অর্থ বছরে আরো ৪০টি হতদরিদ্র পরিবারকে দূর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হবে।
×