ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লৌহজংয়ে একই পরিবারের দু’জনের মৃত্যু, করোনা ভাইরাসের আশঙ্কা !

প্রকাশিত: ০২:৪৯, ২৭ জানুয়ারি ২০২০

লৌহজংয়ে একই পরিবারের দু’জনের মৃত্যু, করোনা ভাইরাসের আশঙ্কা !

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়া সংলগ্ন জসলদিয়া গ্রামের মাত্র ১৬ ঘন্টার ব্যবধানে চাচি-ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর আগের সিমটমে পরিবারের আশঙ্কা করোনা ভাইরাসে তাদের মৃত্যু হয়েছে। ইউএনও ঘটনাস্থলে গেছনে। মেডিক্যাল টিম খোঁজখবর করছে। এদিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা শহর থেকে ডব্লিউএইচও প্রতিনিধি সারভেলেন্স মিডিক্যাল অফিসার (এসএমও) ডা. সাবিনুল ইসলামসহ আরেক টিম ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। রবিবার দিবাগত রাত ২টায় লৌহজংয়ের জসলদিয়া গ্রামের মীর সোহেলের মেঝ ছেলে মীর আব্দুর রহমান (৩) হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে মারা যায়। এর আগে রবিবার সকাল ৮টায় তার চাচী মীর জুয়েলের স্ত্রী শামীমা বেগম (৩৪) একই ভাবে মারা যান। শামীমা বেগমের দেবর মীর শিবলু জানান, তার ভাবী সোমবার সকালে জ্বর জ্বর অনুভব করেন। আস্তে আস্তে জ্বর কিছুটা বেড়ে যায়। একই সাথে শরীরের বিভিন্ন অংশে চাক চাক রক্তের দাগ দেখা যায়। মাত্র ঘন্টা খানেকের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। এর পর রবিবার রাতে তার ভাই মীর সোহেলের ছেলে আব্দুল রহমান (৩) এমন ভাবে জ্বর জ্বর অনুভব করে মাত্র ঘন্টা খানেকের মধ্যে মারা যায়। তার শরীরেও রক্তের থেবো থোবা দাগ দেখা যায়। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ কেন্দ্রে জানানো হয়েছে। শামীমা বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তবে শিশু রহমানের দাফন এখনও সম্পন্ন হয়নি। তার মৃতদেহটি চিকিৎসকরা দেখছেন। মীর শিবলু জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্প কাছাকাছি। এছাড়া জসলদিয়া গ্রামেই জসলদিয়া পানি শোষনাগার প্রকল্প। এই প্রকল্পগুলোতে চিনা নাগরিক রয়েছে। আশপাশেও চীনা নাগরিকদের বসবাস ও বিচরণ রয়েছে। তাই তিনি আশঙ্কা করছেন করোনা ভাইরাস কারণেও মৃত্যু হতে পারে। তবে বাংলাদেশে এখনও এই করোনা ভাইরাসে কেউ মারা যাননি। জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, সেখানে ইউএনও রয়েছেন। মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। খোঁজখবর করা হচ্ছে। বিষয়টি সম্পকে নিশ্চিত হওয়ার ফিট ব্যক দেয়া হবে। লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীম আহমেদ জানান, বিষয় আমরা অবগত হয়েছি। সেখানে একজন টিম পাঠানো হয়েছে। তিনি এসে রিপোর্ট দিলে সেটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হবে এটি করোন ভাইরাস কীনা। সিভিল সার্জনসহ বিয়টি উর্ধতন কর্মকতাদের জানানো হচ্ছে। লৌহজং উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু. রাশেদুজ্জামান বেলা সোয়া ১২টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে বলেন, এখানে চিকিৎসক এসেছেন, খোঁজ খবর করা হচ্ছে। ডা. কামরুল হাসান পাটোয়ারী পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলছেন। আরও একটি টিম পথে রয়েছে। ইউএনও বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে অন্য কোন কারণে মৃত্যু হয়েছে। করোনা ভাইরাসের মত সিমটম নয়।” উল্লেখ্য চীনে এ ভাইরাস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনে অন্তত ৮০ জন মারা গেছে। নতুন এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী ১ হাজার ৯৭৫ জন আক্রান্ত হয়েছে।
×