ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ম ব্যবহার করে কেউ যেনো সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে না পারে সতর্ক থাকুন : পূর্তমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:৩৮, ২৬ জানুয়ারি ২০২০

ধর্ম ব্যবহার করে কেউ যেনো সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে না পারে সতর্ক থাকুন  : পূর্তমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধর্ম ব্যবহার করে কেউ যেনো সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে না পারে তার জন্য সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি। রবিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ বাহ্ম সমাজের ১৯০তম মাঘোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় ব্রাহ্ম সমাজের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, ব্যবধানের দেয়াল তুলতে না পারে। সেজন্য ধর্মের মৌলিক অমৃতবাণী ছড়িয়ে দিতে হবে। হাজার হাজার বছর মন্দিরের পাশে মসজিদ, মন্দিরের পাশে গীর্জা, আযান, ঘন্টা, উলুধ্বনি আমাদের বিভাজন করতে পারেনি। সেই সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার নিবিড় বন্ধন নানা কারণে কিছুটা ক্ষয়িষ্ণু হয়ে গেছে। আমরা সেখানে আবার ফিরে যেতে চাই। গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, চিত্তকে নির্মল করার আহ্বান ধারণ করতে পারলে বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে ধর্মের নামে উশৃঙ্খলতা, উগ্রতা ও সাম্প্রদায়িকতা থাকে না। সকল ধর্মের মর্মবাণী এক। মত ও পথের ভিন্নতা থাকলেও গন্তব্য সকলের একই। সকল ধর্মাবলম্বীদের উচ্ছ্বাসের শব্দ একইভাবে উচ্চারিত। বেদনার কষ্টে সকলের ক্রন্দনের ভাষাও একই। নৈবেদ্য লাভের প্রচেষ্টা সবার এক। সকল ধর্মগ্রন্থের মৌলিক কথাও একই। কোন ধর্ম অপরাধের কথা বলেনা, সাম্প্রদায়িকতার কথা বলেনা। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য অবিরাম পরি¤্রম করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাজ সংস্কারে রাজা রামমোহন রায়ের অবদানের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অন্য ধর্মাবলম্বীরাও তাঁর অবদান অস্বীকার করতে পারবেন না। তিনি তাঁর দৃষ্টিকোণ থেকে সমাজ সংস্কারের জন্য যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছিলেন, ১৯০ বছরের দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় আজ পর্যন্ত কেউ বলতে পারেনি যে তার উদ্যোগ কোনভাবে সঠিক ছিল না। পূর্তমন্ত্রী বলেন,বাহ্ম সমাজের সাধনা, চিন্তা, মননশীলতা যারা ধারণ করেন এবং লালন করে তারা উদারতার সাথে কাজ করছেন। এই উদারতা ছড়িয়ে দিতে হবে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে। একইভাবে অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও ধর্মের মৌলিক কথা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে শান্তির পৃথিবী বিনির্মাণে অবদান রাখতে হবে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ইসলামের নামে অন্য ধর্মের নারীদের ধর্ষণ,তাদের সম্পদ লুন্ঠন, জোর করে ধর্মান্তরিত করা বা দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিলো। কিন্তু ইসলাম সেটা সমর্থন করেনা। আবার বিশ্বের কিছু অঞ্চলে সনাতন ধর্মের নাম নিয়ে কেউ কেউ উগ্রভাবে অপর ধর্মের মানুষের উপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে। যারা একাজ করে তারা সঠিকভাবে সনাতন ধর্ম বা ইসলাম ধর্ম বোঝেনা। মিয়ানমারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি শ্রেণি গেরুয়া পোশাক পরেও হিং¯্র দানবের মতো আচরণ করে। এরা মনুষ্যত্বের নির্যাস সঠিকভাবে জীবনে প্রবেশ করাতে পারেনি। মন্ত্রী সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।
×