স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ কীর্তনখোলা নদীভাঙনের থেকে তীর রক্ষায় সরকারীভাবে ফেলা জিও ব্যাগ থেকে প্রকাশ্যে বালু সরিয়ে লুট করে নিচ্ছে একটি চক্র। সরিয়ে নেওয়া বালু অন্যত্র বিক্রি করারও অভিযোগ উঠেছে ওই চক্রটির বিরুদ্ধে। বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই।
শনিবার সকালে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এ ব্যাপারে খোঁজখর নিয়ে যদি এমন কিছু হয়ে থাকে অবশ্যই কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বেলতলার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে চরবাড়িয়ার প্রায় শেষ সীমানা পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার এলাকায় নদীভাঙন প্রতিরোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সে কাজের অংশহিসেবে বেলতলা খেয়াঘাট সংলগ্ন নদীর তীরবর্তী স্থানে ফেলা হয়েছে জিও ব্যাগ। অতিসস্প্রতি স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি নদীভাঙনের থেকে তীর রক্ষায় ফেলা জিও ব্যাগ থেকে বালু বালু বের করে তা অন্য বস্তায় ভর্তি করে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বেলতলা খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় পারভেজ নামের এক ব্যক্তি জিও ব্যাগ থেকে বালু তুলে সিমেন্টের বস্তা ভর্তি করে নিচ্ছেন। পারভেজ স্থানীয়ভাবে বালু ব্যবসার সাথে জড়িত। পারভেজ বলেন, আমার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন খুঁজতেই জিও ব্যাগ থেকে বালু বের করেছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জিও ব্যাগগুলো বিশেষভাবে তৈরি। এগুলোতে বালু ভরে বিশেষভাবে মেশিনের সাহায্যে সেলাই করে মুখ আটকে দেওয়া হয়, যা পানির স্রোতে এবং ঢেউয়ে খুলে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু সেই সেলাই খুলে দিয়ে আবার মেশিন ছাড়া সেলাই করলে ভেতরের সব বালু পানির সাথে বের হয়ে যাবে। এতে তীর রক্ষা কার্যক্রম হুমকির মুখে পরবে।
