ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সঙ্কটে সার্কাস শিল্প

প্রকাশিত: ১০:০৬, ২৫ জানুয়ারি ২০২০

সঙ্কটে সার্কাস শিল্প

গৌতম পান্ডে ॥ দেখা ও শোনার যুগলবন্দীতে ভাল লাগার কিছুটা সময় অতিবাহিত করার নামই বিনোদন। এর কোন নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া নেই। এ মাধ্যমটি সর্বদা পরিবর্তনশীল। সময়ের পরিবর্তনে এমন মাধ্যম প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়ে চলেছে। কালের প্রবাহে বিনোদনের মাধ্যমে এসেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন বিনোদন মাধ্যমের জৌলুস। বিনোদনের এমনই এক প্রাচীনতম অনুষঙ্গ হচ্ছে সার্কাস, যা বহু বছর হতে চলে এলেও, আজ এর উত্তরণ অন্তিম সূর্যাস্তের দিকে ঢলে পড়েছে। পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ধঁকে ধুঁকে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে বিনোদনের এই অনুষঙ্গ সার্কাস। যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারায় আর বন্যপ্রাণী রক্ষা আইন ক্রমশ কঠিন হয়ে ওঠার কারণে বিলুপ্তির পথে এই প্রাচীন সংস্কৃতি। এই তো কিছুদিন আগেও মেলায় গেলে দেখা যেত, মেলার সবচাইতে বেশি জায়গাজুড়ে রয়েছে সার্কাসের তাঁবু। আবার টেলিভিশনের পর্দায় বিদেশী সার্কাস দেখার আগ্রহও কোন অংশে কম ছিল না। কিন্তু সময় আজ অনেক পরিবর্তিত। বিনোদনের এই মাধ্যমটি এখন মানুষের মুখে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের উপকরণ। অশুভ শক্তির কালো থাবার কারণে দেশের ঐতিহ্যবাহী যাত্রাশিল্প যেমন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তেমনি সার্কাসেও ভর করেছে এই অশুভ শক্তি। সার্কাসে লোমহর্ষক সেই খেলার পরিবর্তে দখল করে নিয়েছে অশ্লীল নৃত্য আর গান। যার ফলে প্রকৃত সার্কাসপ্রেমী দর্শক আর প্যান্ডেলে যেতে পারছেন না। ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পে অপসংস্কৃতি হিসেবে অশ্লীলতা ঢুকে পড়ায় এই শিল্প তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। এক সময় স্থানীয় স্কুল, কলেজ ও ক্লাবের উন্নয়ন এবং বিভিন্ন সময়ের উৎসব ও মেলায় সার্কাসের অনুমোদন দেয়া হতো, এখন আর হয় না। যার ফলে সার্কাস দলের মালিক থেকে শুরু করে খেলোয়াড়সহ সংশ্লিষ্ট সবাই বেকার হয়ে পড়েছেন। অনেকে এই পেশা ছেড়ে জীবিকার জন্য অন্য কাজ শুরু করেছেন। সার্কাসে হাতির ফুটবল খেলা খুবই প্রিয় ছিল সব বয়সীর কাছে। সার্কাসের আয়োজন না থাকায় আজকাল হাতিগুলো বাধ্য হচ্ছে মানুষের কাছে হাত পেতে জীবন বাঁচাতে। সারা দেশে ১০০ হাতি রয়েছে ব্যক্তি মালিকানায়। এর মধ্যে ১৫ থেকে ১৭টি হাতি রাজধানীতে আছে। রাজধানীতে থাকা হাতিগুলো একপ্রকার ভিক্ষা করে বেঁচে আছে। সার্কাস থাকলে কিংবা বনে গাছ টানার কাজ থাকলে এমনটা হতো না বলে জানিয়েছেন হাতির মাহুত ও মালিকরা। কোন্ অদৃশ্য শক্তি সংস্কৃতির এই শেকড় বিনষ্ট করার চক্রান্তে লিপ্ত তা এখনও লোকচক্ষুর অন্তরালে। সার্কাসশিল্প ধীরে ধীরে কেন বিলুপ্তির পথে এ প্রশ্ন ঘুরেফিরে সবার মুখে। কেউ দুষছে স্থানীয় প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতাকে, কেউ দুষছে সার্কাস দলের মালিকদের, কেউ বলছে পৃষ্ঠপোষকতার অভাব আবার কেউ বলছে আয়োজক কমিটি সংস্কৃতিমনস্ক না হওয়ার কারণে এই দৈন্যদশা। তবে সার্কাস দলের মালিক ও শিল্পীরা বলছেন, এই অশ্লীলতা তারাও পছন্দ করেন না। তাদের এই পেশা টিকিয়ে রাখতে এবং বাঁচার তাগিদে একটি চক্রের কাছে জিম্মি হয়েই তারা কোন কোন সময় তাদের কথা শুনতে বাধ্য হচ্ছেন। কয়েক বছর ধরে সার্কাসশিল্পে ক্রমে লোকসানের ঘানি টানতে টানতে ক্লান্ত সার্কাস দল মালিকরা। সার্কাস প্রদর্শনের পর্যাপ্ত আয়োজন না থাকার কারণে অধিকাংশ দলকেই বসে থাকতে হচ্ছে। কালেভদ্রে দুই/একটা বায়না পেলে তাতে খেলোয়াড় আর কলাকুশলীদের বেতন ও অন্যান্য খরচ শেষে হাতে আর কিছুই থাকে না। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, অনেকে পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছেন। বাংলাদেশে ১৯০৫ সালে ‘দি লায়ন সার্কাস’ নামে প্রথম একটি সার্কাস দল গঠিত হয়। ১৯৭০ সালে দলটির নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় ‘দি সাধনা লায়ন সার্কাস’। স্বাধীনতা পূর্বকালে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত এদেশে বেশকিছু দল প্রায় নিয়মিত সার্কাস প্রদর্শনী করত। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে এদেশে দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল যেসব সার্কাস দল তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেÑবগুড়ার মহাস্থানগড়ের আব্দুস সাত্তারের ‘দি বুলবুল সার্কাস’, বরিশালের বীরেন চন্দ্র দাসের ‘দি রয়েল সার্কাস’, ফেনির সুনীল চন্দ্র পালের ‘দি সবুজ বাংলা সার্কাস’, সাতক্ষীরার ‘দি সুন্দরবন সার্কাস’, নারায়ণগঞ্জের মুকুলের ‘দি কাঞ্চন সার্কাস’, চট্টগ্রামের আনোয়ার খানের ‘দি কোহিনূর সার্কাস’, সৈয়দপুরের আকবর শেখের ‘দি রওশন সার্কাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এমএ সামাদের ‘দি নিউ স্টার সার্কাস’, আব্দুল বশিরের ‘দি ন্যাশনাল সার্কাস’, ঢাকা-নবাবগঞ্জের নিরঞ্জন সরকারের ‘দি লায়ন সার্কাস’, ঢাকা-বর্ধনপাড়ার রতন সরকারের ‘দি রাজমহল সার্কাস’, শৈলেন বাবুর ‘নিউ সবুজ বাংলা সার্কাস’ এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জের বসন্তকুমার মোদকের ‘দি সোনার বাংলা সার্কাস’। বাংলাদেশের সার্কাস দলগুলোতে সাধারণত জীবজন্তুর খেলা এবং মানুষের চোখ দিয়ে রড বাঁকানো, ভারত্তোলন, এক চাকা, দু’চাকা, লোহার খাঁচা ও কূপের মধ্যে মোটরসাইকেল চালানোসহ নানা খেলা দেখানো হতো। হাতেগোনা কয়েকটি সার্কাস দল এখনও কোন রকমে টিকে আছে। নিজেদের দৈন্যের মধ্যেও বাপ-দাদার আমলের এ ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। রংপুরের বদরগঞ্জ থানায় বার্ষিক গরু-মহিষের মেলায় চলছে বগুড়া মহাস্থানগড়ের ‘দি রাজমণি’ সার্কাস। ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুমোদন আছে। দিনে চারটা শো হয়। দুপুর ১২টা, বেলা ৩টা, সন্ধ্যা ৬টা, রাত ৯টা। ‘দি রাজমণি’ সার্কাসের কর্ণধার শাহীনুর বলেন, তীব্র শীত থাকা সত্ত্বেও মোটামুটি চলছে। এত শীত না হলে আরও ভাল হতো। সার্কাসের অবস্থা মাঝে মাঝে করুণ হয়। আমার সার্কাস দলে ৮০জন লোক। আমার দলে একটা ভাল্লুক আছে বাবার আমলের, একটা বাঘের বাচ্চা, একটা বানর, আর একটা হাতি আছে। বিশ্বের সব রাষ্ট্র সার্কাস শিল্পকে সহযোগিতা করে। আমরা সরকার থেকে কোন অনুদান পাই না। আমাদের দেশে অন্যান্য শিল্প অনুদান পায় কিন্তু সার্কাস শিল্প পায় না। বিএনপির আমলে তো আমরা মরেই গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে একটু ভাল আছি। এখন দেশে সার্কাস তেমন হয় না। সামনে ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষার এ সময় পারমিশন পাব না। নবেম্বর-ডিসেম্বর পরীক্ষা গেল তাতেও পাইনি। আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে পারমিশন পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, আমাদের মূল সার্কাস ছিল ‘বুলবুল সার্কাস’। আব্বার বয়স প্রায় ৯৫ বছর। আব্বা অসুস্থ হওয়ার পরে ২০১১ সালে এটার নাম পরিবর্তন করে লাইসেন্স করেছি ‘রাজমণি সার্কাস’ নামে। সার্কাস শেষ হয়ে যাওয়ার একমাত্র কারণ পারমিশন না পাওয়া। বিশ্বের কোন দেশে পরীক্ষার সময় কোন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান বন্ধ হয় না। শুধু বাংলাদেশে হয়। প্রতিবছর ৮ থেকে ৯ জায়গায় সার্কাস দেখানোর সুযোগ হয়। এর আগে অনেক বেশি করতাম। অক্টোবরে একটা শো করেছি ১৫ দিনের। দুই/আড়াই মাস বসে থেকে আবার এলাম রংপুরের বদরগঞ্জ। কিছু কিছু লোক সার্কাস করেছে। সেগুলো ভুয়া সার্কাস। শাহীনূর বলেন, সার্কাসের পাশাপাশি একটা প্রতিবন্ধী স্কুল চালাই। ঢাকা-নবাবগঞ্জের দি সাধনা লায়ন সার্কাসের মালিক নিরঞ্জন সরকার বলেন, আমার তিনটি সার্কাসের দল। এগুলো হচ্ছে দি সাধনা লায়ন সার্কাস, দি লায়ন সার্কাস ও দি অলিম্পিক সার্কাস। সার্কাস এখন আর চলে না। কঠিন অবস্থায় আছি আমরা। চালাতে পারি না। এখন পার্মান্যান্ট লোকজনও নেই। কামলা করে যেমন নেয়া হয় ডেইলি ব্যাসিসে সার্কাস চালু হলে তখন আসে আবার চলে যায়। পারমিশনের জন্য সমস্যা। বিভিন্ন শোক দিবস, পবিত্র রমজান, এসএসসি, এইচএসসি, পিএসসি পরীক্ষা তিন মাস এভাবে যায়। দুই মাস বৃষ্টি। রাজনৈতিক সমস্যা। বিভিন্ন কারণে আমাদের বসে থাকতে হয়। আরেকটা সমস্যা হলো যাত্রা ও পুতুলনাচের নামে অশ্লীল নাচ-গান এত বেড়ে গেছে; যে কারণেই আমরা বেশি ধরা খেয়ে গেছি। ১৯০৫ সালে বাঙালীদের মধ্যে ‘দি লায়ন সার্কাস’ নামে প্রথম সার্কাস প্রতিষ্ঠা করে আমার ঠাকুর দাদা। কষ্টমষ্ট করে এই ঐতিহ্য ধরে রাখছি। এখন পিরোজপুর স্টেডিয়ামে বাণিজ্যমেলায় চলছে আমার ‘দি অলিম্পিক সার্কাস’। মেইন কথা পারমিশনের জন্য সমস্যা। একটা সার্কাস করতে বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ ভাল পরিমাণ টাকা চলে যায়। সব খরচ মিলিয়ে সার্কাস এখন আর কেউ নিতে চায় না। এলাকার লোকজন পাঁচশ’ লোক হলে বলে হাজার হাজার লোক হয়েছে, তখন এলাকার চাপ। জীব জানোয়ার এখন সরকার রাখতে দিচ্ছে না। সরকার এগুলো সব নিয়ে যাচ্ছে। শুধু হাতির অনুমতি দিচ্ছে। একটা হাতির অনুমতি আনতে বছরে পঞ্চাশ হাজার টাকা লাগে। সরকারের বন বিভাগ এর অনুমতি দিচ্ছে না। এর জন্য বিকল্প হিসেবে সার্কাসের মধ্যে কিছু গানের আয়োজন করি। বা ক্লাসিক্যাল নাচের আয়োজন করছি। দর্শককে কিছু তো দেখাতে হবে। ১৫ দিন শো করলাম আর দুই মাস বসে থাকলাম। তারপর একমাস করলাম পরে আর পারশিমন পেলাম না। অনেকদিন পর দি সাধনা লায়ন সার্কাসের একটা শো হচ্ছে। বাগেরহাট থেকে প্রথম আরম্ভ করেছিলাম দুই বছর আগে। আমার বাপ-দাদা দেশে প্রথম করেছিল দি সাধনা লায়ন্স সার্কাস। এটাকে কিভাবে বাঁচানো যায় একটু দেখেন আপনারা। কিছু কিছু সার্কাস আছে, সার্কাসের নাম দিয়ে তারা হাবিজাবি নাচ-গান চালায়। অশ্লীলতার কারণে আমরা আরও বেশি সমস্যায় পড়েছি। লক্ষ্মী নারায়ণ সার্কাসের কর্ণধার স্বপন সরকার বলেন, আপাতত আমার সার্কাসের শো বন্ধ আছে। ব্যক্তিগত কারণেই বন্ধ রাখছি। সার্কাস যে দিনকে দিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এর কারণের কোন শেষ নেই। প্রশাসন থেকে শুরু করে লোকাল পর্যন্ত নানা সমস্যায় এটা এখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সরকার বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে আমাদের সিজনগুলোতে অনুমোদন দিচ্ছে না। অনুমোদন একেবারে পাই না, এটা বললে ভুল হবে। অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে হয়ত পাওয়া যায়। এই অনুমোদন পেতে যে ব্যয়বহুল খরচ এটা এককভাবে কোন সার্কাস মালিকের পক্ষে সম্ভব নয়। পাবলিকের মধ্যে চাহিদাও অনেকটা কমে গেছে। এটা কমার পেছনেও অনেক কারণ আছে। তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে যতটুকু আমি বুঝি সেটা হচ্ছে, আগে সার্কাস মোটামুটি বছরে ১১মাস চলত। শুধুমাত্র রমজান ভ্যাকেশনটা থাকত। এখন জেএসসি, পিএসসি, এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন দিবসের কারণে অনুমোদন পাওয়া যায় না। সার্কাসের জন্য শীত সিজনটা হচ্ছে মূল। এসময় বিভিন্ন ফেস্টিভ্যাল বা মেলা হয়। আমরা তো অনুমতিটা চাই ব্যবসার স্বার্থে, কিন্তু সেটা আর হয় না। যারা দলে চাকরি করবে তাদের তো আয়ের একটা পথ থাকতে হবে। একটা সার্কাস যদি চার মাস রানিং হয় তাহলে তারা অন্য কোন জায়গায় কাজ করার সুযোগ নেয় না এই ভেবে যে কখন শুরু হয়। এক সময় ছিল গ্রাম অঞ্চলে সার্কাস যেত। আনন্দের একটা হিড়িক পড়ে যেত। এখন ডিজিটাল যুগ হয়ে গেছে, ইউটিউব, টিভি বা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের দেশের চেয়ে অনেক উন্নতমানের সার্কাস দেখতে পারে দর্শক। অন্যদেশে এর পৃষ্ঠপোষক হয় সরকারীভাবে। আমাদের দেশে সেটা নেই। আমি এ ব্যবসায় ইনভেস্ট করব। দেখা যাচ্ছে যে আমার মূল চালানই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত, এদের নেক্সট জেনারেশন এই পেশায় আর যেতে চাইছে না। তারা বলছে আমাদের ছেলে-মেয়েদের যদি এর মধ্যে জড়াই তাহলে ভবিষ্যত আরও খারাপ হয়ে যাবে। জেনারেশনটা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনিক জটিলতা যেমন আগে থানা লেভেল থেকে অনুমোদন পেতাম। জেলা প্রশাসক দিতেন এবং সেটা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করতে হতো। লোকাল পলিটিক্স এসব অনুমোদনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। এখন আমার দলের জীবজন্তু সেভাবে নেই। এখন স্পেসিফিকভাবে হাতি, ঘোড়া, ছাগল এসব দিয়ে খেলা দেখানো হয়। বন্য হিংস্র পশু সরকারীভাবে এখন নিষিদ্ধ।
×