ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তৌফিক অপু

উৎসবের শাড়ি

প্রকাশিত: ১০:০৩, ২৪ জানুয়ারি ২০২০

উৎসবের শাড়ি

শীত যেন অনেকটাই জেঁকে বসেছে। তাই বলে থেমে নেই মানুষের জীবন গতি। বরং শীতকাল এলেই সেই গতি যেন আরও বেড়ে যায়। সারা বিশ্বে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের যে গৌরবান্বিত পরিচয় রয়েছে ঠিক তেমনি রয়েছে উৎসবপ্রিয় জাতি হিসেবে। দিন-ক্ষণ মেপে কোন উৎসব নয় একেবারেই প্রাণের আবেগ নিয়ে বাঙালী জাতি পালন করে তাদের উৎসব। আবেগময়তার কারণেই উৎসবে যোগ হয় ভিন্নমাত্রা। উৎসবগুলোও যেন প্রকৃতিকেন্দ্রিক। সারাবছর বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালিত হলেও শীতকালে এর মাত্রা বেড়ে যায়। অর্থাৎ নানা উৎসব-আয়োজন, পালা-পার্বণ এ মৌসুমকে ঘিরেই যেন আবর্তিত হয়। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেড়ে যায় মানুষের ব্যতিব্যস্ততা। কি পরবে, কিভাবে যাবে এই নিয়ে যেন ঘুম হারাম। তার ওপর আবার পার্টি ওয়াইজ ড্রেস সিলেকশনের ব্যাপার তো রয়েছেই। একটা সময় ছিল উৎসবের পোশাক নিয়ে তেমন চিন্তাভাবনা করত না কেউ। স্টকে থাকা ভাল জামাটাই ছিল অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য বরাদ্দ। বড়জোর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নতুন জামা কেনা হতো। সেটাও আবার পার্টির ওপর ডিপেন্ড করে নয়। শুধু ভাললাগা থেকে জামাটা কেনা হতো। কিন্তু কালের পরিক্রমায় প্রেক্ষাপট পাল্টে গেছে অনেক। পরিবর্তন এসেছে চিন্তাভাবনা এবং রুচিতে। সচেতনতা বেড়েছে বহুগুণে। মানুষ এখন পোশাক-আশাক, কেনাকাটার ক্ষেত্রে কেতাদুরস্তের পরিচয় দিয়ে থাকে। সেই সঙ্গে ফ্যাশনসচেতন হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে যথেষ্ট হিসেবি। বর্তমান সময়ে মানুষ অনেক ভেবেচিন্তে তাদের পছন্দের পোশাকটি সংগ্রহ করে থাকে। এই ভাবনাচিন্তার মধ্যে স্থান পায় অনুষ্ঠানের প্রকারভেদ, আবহাওয়া, অনুষ্ঠানস্থল, ইত্যাদি। অর্থাৎ অনুষ্ঠানভেদে পোশাক নির্বাচন করাটাই বিচক্ষণতার পরিচয় বহন করে। এ প্রসঙ্গে ফ্যাশন ডিজাইনার ফুয়াদ হাসান জানান, এখন মানুষ পোশাক কেনার ব্যাপারে যতটা চুজি যা আগে যতটা দেখা যায়নি; এটা অবশ্য ইতিবাচক একটা দিক। এতে করে বোঝা যায় মানুষ এখন অনেকটাই ফ্যাশন সচেতন। যার ফলে আমাদেরও নজর রাখতে হয় ক্রেতার পছন্দের ওপর। এখন পার্টির মৌসুম। মানুষও ফ্যাশন আউটলেটগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে পার্টিওয়াইজ পোশাক কালেক্ট করার জন্য। দিনের অনুষ্ঠানের জন্য এক রকম পোশাক আবার রাতের অনুষ্ঠানের জন্য আরেক রকম। যেহেতু শীতের মৌসুম সে জন্য পোশাকের ক্ষেত্রে মোটা কাপড়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। একটু ব্রাইট কালার এ সময়টাতে ভাল লাগবে বলে জানান ফুয়াদ। রাতের অনুষ্ঠানে ব্ল্যাক ভাল মানাবে। তবে এখনও উৎসবের কথা আসলে রমণীরা শাড়িকেই প্রাধান্য দেন। আর যদি মনে হয় বাঙালিয়ানা ভাবটাই মানিয়ে যাবে তাহলে অনায়াসে শাড়ি পছন্দ করতে পারেন। এক্ষেত্রে জর্জেট, সিল্ক, জামদানি অথবা স্টোনের কাজ করা ভারি শাড়িগুলোও চুজ করতে পারেন। বিভিন্ন মোটিফের শাড়ি এখন শোভা পাচ্ছে শোরুমগুলোতে। হাতের কাজ, কারচুপি, এম্ব্রয়ডারি, ব্লক বাটিক সবই মিলবে শুধু নিজেরটা পছন্দ করে নিতে হবে। তবে অনুষ্ঠান ভেদে বেছে নিতে হবে পছন্দের শাড়ি। মসলিন এবং নেটের ওপর বেশ কিছু গর্জিয়াস শাড়ি রয়েছে মার্কেটে। যেগুলো দেখতে যেমন চমৎকার তেমনি আরামদায়ক। এছাড়া লেইস লাগানো কিংবা ইয়োক বসানো কিছু শাড়িরও দ্যুতি ছড়াচ্ছে আপন মহিমায়। উৎসবের এ সময়ে একেক উৎসবের ধরন থাকে একেক রকম। তাই উৎসবের ধরন দেখে শাড়ির রং ও ডিজাইন পছন্দ করতে হবে। দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে পোশাকের ভেরিয়েশন থাকলেও শাড়ির আবেদন নারীদের কাছে সবসময়ের জন্য ছিল এবং থাকবে। তাই দিন দিন শাড়ি আরও বেশি রং ছড়াচ্ছে, ভেরিয়েশন আসছে ডিজাইন ও মোটিফে। মডেল : স্বর্ণিমা, ইভা, রমন ছবি : রিজ ও গ্রাফি মেকআপ : সায়রা আকবর ইভা শাড়ি : ডিজাইন বাই শম্পা ঘোষ
×