ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মহিলা ফুটবলারদের সঙ্গে খেললেন জুলিও সিজার

প্রকাশিত: ০৯:০৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

 মহিলা ফুটবলারদের সঙ্গে খেললেন জুলিও সিজার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পুরো নাম জুলিও সিজার সোয়ারেস ডি এসপিন্দোলা। সংক্ষেপে জুলিও সিজার বললেই পাঠক নিমিষেই চিনে ফেলবেন তাকে। বিশ্বখ্যাত ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার-গোলরক্ষক। ২০০৪-২০১৪ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের জার্সিতে খেলেছেন ৮৭ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। জিতেছেন কোপা আমেরিকা কাপ (২০০৪), ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের (২০০৯, ২০১৩) শিরোপা। ক্লাব পর্যায়ে খেলেছেন ফ্লেমেঙ্গো, বেনফিকা, ইন্টার মিলান ও কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের মতো বিশ্বখ্যাত ক্লাবে। জিতেছেন ২০০৯ সারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ মোট ২৬টি ক্লাব শিরোপা। সেই জুলিও সিজার এখন বাংলাদেশে। বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকায় তিনি ব্যস্ত দিন পার করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাফুফের নানা আয়োজনের একটি শুভেচ্ছাদূত হিসেবে জুলিও সিজারকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের প্রচার-প্রচারণার লক্ষেও আনা হয় তাকে। বুধবার রাতে ঢাকায় আসার পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কার্যক্রম শুরু হয় সিজারের। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন, দুপুরে বাফুফে ভবনে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যদের সঙ্গে এবং বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ফটোসেশন করেন। বিকেলে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন এবং বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও বুরুন্ডির মধ্যেকার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবলের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচটি উপভোগ করেন। এছাড়া তিনি বাফুফে আর্টিফিসিয়াল টার্ফে মহিলা ফুটবলারদের সঙ্গে পেনাল্টি শট ফেরানোর একটি সেশনে অংশ নেন। সব পেনাল্টি শট ফিরিয়ে দিলেও একমাত্র সিরাত জাহান স্বপ্নার শটটিই ফেরাতে পারেননি তিনি! সিজারের বয়স যখন নয় বছর তখন থেকেই গোলকিপার পজিশনে খেলা শুরু করেন। পেশাদারী ফুটবল জীবন শুরু করেন ক্লাব ডি রেগাতাস দো ফ্যামেঙ্গো’র মাধ্যমে। ১৯৯৭ সালে ক্লেমারের সহযোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। পরের মৌসুমে তিনি আরও উজ্জ্বীবিত ভূমিকা পালন করে মূল একাদশে আসেন ও দলের শীর্ষ গোলরক্ষকর দায়িত্ব পান। ২০০০ সালে দলকে চারবার ক্যাম্পিওনাতো ক্যারিওকা বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এর ফলে ২০০৪ সালে কোপা আমেরিকায় ব্রাজিল জাতীয দলের শীর্ষ গোলরক্ষকের ভূমিকায় আসীন ছিলেন। ২০০৫ সালে দলের পক্ষে রেকর্ডসংখ্যক ১৩০টি খেলায় অংশগ্রহণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্টান্যাজিওনালে তিন বছর মেয়াদে চুক্তিবদ্ধ হন। এ চুক্তি সম্পাদনে ইন্টারের ব্যয় হয় ২.৪৫ মিলিয়ন ইউরো। ২০০৯ সালে আইএফএফএইচএস কর্তৃক তিনি বিশ্বের তৃতীয় সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হন। তিনি কেবলমাত্র ইকার ক্যাসিয়স এবং জিয়ানলুইজি বুফনের পেছনে ছিলেন। এছাড়াও তিনি ২০০৯ ও ২০১০ সালে পরপর দুই বছর সিরি-এ বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পান।২০০৯ সালে ‘ব্যালন ডি’অর’ পুরস্কারের তালিকায় ২১তম স্থান দখল করেন। ওই বছর তিনিই ছিলেন একমাত্র গোলরক্ষক, যিনি এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
×