ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচারে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরা

ইসি নিরপেক্ষ নয় ॥ ইশরাক-তাবিথের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

 ইসি নিরপেক্ষ নয় ॥ ইশরাক-তাবিথের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয় বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা। বেলা পৌনে এগারোটায় আশকোনা হাজী ক্যাম্পে নির্বাচনী প্রচারকালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল অভিযোগ করেন নির্বাচন কমিশন যে নিরপেক্ষ কাজ করছেন না তার প্রমাণ আমাদের ওপর হামলা। মঙ্গলবার আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা অনেকে আহত হয়েছি। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দুপুরে হাজারীবাগ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অভিযোগ করেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়। এদিকে দুই সিটি কর্পোরেশনে বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে দলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও সমমনা কোন কোন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরা অংশ নেন। এ সময় তারা ভোটারদের কাছে লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কৌশলে ভোট প্রার্থনা করেন। ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচার দুপুর ১টার দিকে হাজারীবাগের ঝাউচর বাজার থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। এর আগে বেলা এগারোটা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ঝাউচর বাজারে একত্রিত হন। এ সময় তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়ার পাশাপাশি বিএনপির মেয়র প্রার্থীর জন্য ধানের শীষে ভোট চান। পরে ইশরাক হোসেন ৫৫, ৫৬, ৫৭, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১ নং ওয়ার্ড এলাকায় গণসংযোগ করেন। নির্বাচনী প্রচারকালে ইশরাক হোসেন পুলিশকে জনগণের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার আমাদের ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র প্রার্থীর প্রচারের পেছন থেকে ন্যক্কারজনকভাবে হামলা চালানো হয়। এখন পর্যন্ত একজনকেও গ্রেফতার হতে দেখলাম না। আমি পুলিশ প্রশাসনকে বিনীত অনুরোধ করব, আপনাদের যে গুরুদায়িত্ব আছে সেটা আপনারা পালন করুন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আপনাদের উপর যে সাংবিধানিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেটা আপনারা পালন করুন। আপনারা জনগণের পক্ষে কাজ করুন। ইশরাক বলেন, আজকে এ শহরটাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এই ধ্বংসাত্মক অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের একটা পরিবর্তন দরকার। ১ ফেব্রুয়ারি একটা সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক, জনগণ হবে রাষ্ট্রের মালিক, এই অধিকারকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার একটা সুযোগ এসেছে আমাদের সামনে। আমরা জনগণের রায় নিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি বিজয় উৎসব করব। ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব-উন-নবী খান সোহেল, দলের নেতা মীর সরাফত আলী সপু, কাজী আবুল বাশার প্রমুখ। তাবিথ আউয়ালের নির্বাচনী প্রচার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বেলা পৌনে ১১টায় আশকোনা হাজী ক্যাম্প থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। এরপরে তিনি গাওয়াইর কাজীবাড়ী হয়ে দক্ষিণ খান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। নির্বাচনী প্রচারকালে তাবিথ আউয়াল বলেন, আমাদের ওপর হামলার পর নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। তারা তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ৪৮ ঘণ্টা সময় নিয়েছেন। আমরা অপেক্ষা করছি দেখতে চাই তারা কি পদক্ষেপ নেন। তবে নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল আগে থেকেই সক্রিয় হওয়া। একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রার্থীদের সঙ্গে রাখা। তাবিথ আউয়াল বলেন, এ নির্বাচন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সারাদেশের মানুষের মুক্তির সংগ্রামের অংশ। মানুষ ভোট দিয়ে জানিয়ে দিতে চায় কেউ দুর্নীতি আর অপশাসন চায় না। জনগণ ভোট দিতে পারলে ধানের শীষের বিজয় হবে ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, সকলেই চায় আনন্দ উৎসবের মধ্যে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা সেটা চায় না।
×