ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রেমিটেন্স বেড়েছে ১০ শতাংশ ॥ অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

রেমিটেন্স বেড়েছে ১০ শতাংশ ॥ অর্থমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে জানিয়েছেন, গত এক বছরে প্রবাসীদের রেমিটেন্স প্রেরণের হার প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজের প্রশ্নের লিখিত জবাবে অর্থমন্ত্রী আরও জানান, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রাপ্ত রেমিটেন্স ছিল ৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা গত বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় ২৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি। মন্ত্রী জানান, রেমিটেন্স গ্রহণ ও গ্রাহকের কাছে সরাসরি পৌঁছানোর লক্ষ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের সঙ্গে বিদেশী এক্সচেঞ্জ হাউসের ড্রয়িং ব্যবস্থাপনাকে উৎসাহিত করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানির সঙ্গে বর্তমানে প্রায় এক হাজার ২৪৫টি ড্রয়িং ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। যা রেমিটেন্স আহরণের উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। আরও নতুন নতুন ব্যবস্থা স্থাপনের অনুমোদন প্রদান অব্যাহত আছে। তিনি আরও জানান, বিদেশের এক্সচেঞ্জ হাউসের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাংকের ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনকে সহজতর করার লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতিতে ড্রয়িং স্থাপনের ক্ষেত্রে রক্ষিতব্য ব্যাংকের ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। যা বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। সরকারী দলের সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী ক্ষুদ্র ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার ২৪ শতাংশ। ইতিপূর্বে বেসরকারী সংস্থা কর্তৃক অধিক সুদে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের কথা থাকলেও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি আইন-২০০৬’র আওতায় সরকার কর্তৃক এমআরএ প্রতিষ্ঠানের পর হতে প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ব্যয়, প্রশাসনিক ব্যয়, ঋণ ক্ষতি সঞ্চিতি ও প্রফিট মার্জিন ইত্যাদি পর্যালোচনা এবং সরকারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করে ক্রমহ্রাসমান স্থিতি পদ্ধতিতে ক্ষুদ্র ঋণের সুদহার নির্ধারণ করে দেয়া হচ্ছে।
×