ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘মুজিববর্ষে’ জাতির জন্য উপহার, আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম ॥ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী

ই-পাসপোর্ট যুগে দেশ

প্রকাশিত: ১০:৩০, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

ই-পাসপোর্ট যুগে দেশ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কর্মসূচী এবং স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উদ্বোধন করে বলেছেন, এটা (ই-পাসপোর্ট) জাতির জন্য ‘মুজিববর্ষে’ একটি উপহার। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের এই বিশেষ বছরে আমরা জনগণের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দিতে পারছি। যা নিঃসন্দেহে ডিজিটাল জগতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে। বাংলাদেশ ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে, আরও এগিয়ে যাবে। বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিশ্বের ১১৯তম দেশ হিসেবে আধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত ই-পাসপোর্ট চালু করল বাংলাদেশ। দক্ষিণের এশিয়ার মধ্যে প্রথম ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এটি একটি বিশেষ বছর। জাতি এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করছে। আমরা মুজিববর্ষে দেশের জনগণের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দিচ্ছি। এর মাধ্যমে যে কোন দেশে প্রবেশ এবং বহির্গমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশী নাগরিকের ঝামেলামুক্ত চলাচল নিশ্চিত হবে এবং ই-গেটের সর্বাধিক সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। আমি বিশ্বাস করি ই-পাসপোর্ট এবং স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা সন্দেহাতীতভাবে ডিজিটাল বিশ্বে বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদা আরও সমুন্নত করবে এবং বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। দেশে একটা ডিজিটাল বিপ্লব সাধিত হয়েছে। ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশীদের বিদেশ গমনাগমন সহজ করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে পাসপোর্টটা দিতে যাচ্ছি, এটা বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট। সেখানে একজন পাসপোর্ট যে গ্রহণ করবে তার ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, চোখের কর্নিয়ার ছবি থাকবে। কাজেই সেখানে অতীতে যে একটা সমস্যা ছিল পাসপোর্ট নিয়ে, এক সময় গলাকাটা পাসপোর্ট প্রচলন ছিল আমাদের দেশে, সেটা আর কখনও হবে না। এখন আর মানুষ ধোঁকায় পড়বে না। এখন স্বচ্ছতার সঙ্গে চলবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনহোল্টস অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। বহির্গমন এবং পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোঃ শহিদুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তার ই-পাসপোর্টটি হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্ট ভবনের ফলক উন্মোচন করেন এবং এনরোলমেন্ট বুথ পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন, জার্মান রাষ্ট্রদূতও প্রধানমন্ত্রীর হাতে অপর একটি শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, উর্ধতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং কূটনীতিক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১১৮ দেশে ইতোমধ্যে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন হয়ে গেছে। কাজেই বাংলাদেশ এখন হলো ১১৯তম দেশ। আমরা সেই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি। দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বপ্রথম বাংলাদেশই ই-পাসপোর্ট চালু করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা চাই দেশ এগিয়ে যাক। সে লক্ষ্যে যখনই যে প্রযুক্তি আসে আমরা সে পদক্ষেপ নেই। ২০০৫ সালের ২৪ নবেম্বর আমরা বাংলাদেশের জনগণের জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট দিতে শুরু করি। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে আগামী ১০ বছরের জন্য আমরা এখন ই-পাসপোর্ট প্রদানের পদক্ষেপ নিয়েছি। সরকারপ্রধান এ সময় ই-পাসপোর্ট চালুর জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ধন্যবাদ জানান, একইসঙ্গে বিদেশগামী শ্রমিকদের যেন হয়রানিতে পড়তে না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে আজকে এগিয়ে গিয়েছি। আমাদের দেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে। এখন অনেক মানুষ বিদেশ যায়। আমাদের প্রবাসীরা বিদেশে কাজ করে রেমিটেন্স পাঠায়। যে রেমিটেন্স আমাদের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখে। আমাদের সব ধরনের কার্যক্রমে তাদের বিরাট সহায়তা আমরা পাই। কাজেই তারা যাতে কোনরকম হয়রানির শিকার না হন, সেটাও যেমন আমরা লক্ষ্য রাখি। বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকারের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু বর্তমান নয়, ভবিষ্যত বংশধর, ভবিষ্যত প্রজন্ম অর্থাৎ এই মুহূর্তে যে শিশুটির জন্ম হবে তার ভবিষ্যত জীবনটাও যেন সুন্দর হয়, নিরাপদ হয়, আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়- সেভাবেই আমরা পরিকল্পনা করে দিয়ে যাচ্ছি। যে বাংলাদেশ জাতির পিতা স্বাধীন করে দিয়েছেন, এই স্বাধীনতা যেন অর্থবহ হয়। দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়, সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা শতবছরের ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের কাজে হাত দিয়েছি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশের শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘ ছয়টি বছর আমাদের দু’বোনকে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়েছে। তৎকালীন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা শেখ রেহানার পাসপোর্ট পর্যন্ত নবায়ন করতে দেয়নি। দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণের সমর্থনে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন থেকে আমার লক্ষ্য ছিল, ’৭৫-এর পর থেকে আমরা চেয়েছি এই বাংলাদেশ জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা কখনও ব্যর্থ হতে পারে না। ব্যর্থ হতে আমরা দেব না। আমাদের দুই বোনের এটা একটা প্রতিজ্ঞা ছিল। শোককে বুকে নিয়ে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়েছি। দেশ আজ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য, আমরা বাংলাদেশকে একটি উচ্চ মর্যাদায় নিয়ে যাব। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার চায় বাংলাদেশ আরও উন্নত হবে, সমৃদ্ধশালী হবে। আত্মমর্যাদাশীল হবে। আমরা অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে গেছি। ইতোমধ্যে দেশের অভ্যন্তরে ৬৪ জেলায় ৬৯ পাসপোর্ট অফিস, ৩৩ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এবং বিদেশে অবস্থিত ৭৫ বাংলাদেশ মিশনে পাসপোর্ট ও ভিসার উইংয়ের মাধ্যমে পাসপোর্ট, ভিসা ইমিগ্রেশন সেবাকে আমরা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা পাসপোর্ট ইমিগ্রেশন সেবাকে যুগোপযোগী করতেই ই-পাসপোর্ট প্রদান করতে যাচ্ছি। ই-পাসপোর্ট প্রচলন করার ফলে ইমিগ্রেশন সুযোগ-সুবিধা আন্তর্জাতিক মানের হবে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারণ প্রবাসীরা যখনই আসেন, তখনই শোনা যায় তারা নানারকম হয়রানির শিকার হয়। ভবিষ্যতে আর এই হয়রানির শিকার আর তারা কখনো হবেন না বা যারা বিদেশে যান তাদেরও কোন রকম হয়রানির শিকার হতে হবে না। তিনি বলেন, ধাপে ধাপে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে আমরা আমাদের অধিদফতরের অবকাঠামো এবং নিজস্ব ভবন সবকিছু তৈরি করে দিয়েছি। আমরা চাই যে, আমরা সবসময় যেন বিশে^র সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারি। সেভাবেই আমরা দেশকে গড়তে চাই। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে এই পর্যন্ত আমরা সরকার পরিচালনা করছি। আমাদের সৌভাগ্য যে, ২০২০ সাল জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী আমরা উদ্যাপন হবে। ইতোমধ্যে ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। আমরা মুজিববর্ষ ঘোষণা দিয়েছি। আর এই মুজিববর্ষে ই-পাসপোর্ট মানুষ পাবে। আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন নতুন পাসপোর্ট পাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরই তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সেই নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ। কারণ কম্পিউটার শিক্ষা বা ডিজিটাল ডিভাইস যেন বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার করতে পারে। তিনি বলেন, ’৯৬ সালে কিছু উদ্যোগ নিলেও তা সম্পূর্ণ করে যেতে পারিনি, তাই ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসেই সেই উদ্যোগটা নেই। দেশের স্কুল-কলেজ, অফিস, বিশ্ববিদ্যালয়, আদালত- সকল ক্ষেত্রেই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করি, কম্পিউটার-ল্যাপটপ জনগণের কাছে সহজলভ্য করার জন্য এসব যন্ত্রাংশ থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহার করি। যার সুফল আজকে আমরা পাচ্ছি। দেশে একটা ডিজিটাল বিপ্লব সাধিত হয়েছে। তিনি ইন্টারনেটের জন্য সাড়ে ৩ হাজার ইউনিয়নে সাবমেরিন ক্যাবল সুবিধা পৌঁছে দেয়া, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এবং নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে জনগণকে পরিচয় করিয়ে দেয়ায় তার সরকারের উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণ আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন, বিশ্বাস রেখেছেন। ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলেছি। সেই সেবা মানুষ পাচ্ছে। মানুষের জীবনমান সহজ হয়েছে এবং আরও এগিয়ে যাব। বাংলাদেশ হবে দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন। আমাদের প্রতিটি উন্নয়নের কাজে, আমরা সব সময় মাথায় রাখি এটা যেন একেবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত মানুষ যেন সেই সেবাটা পায়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের প্রতিটি উন্নয়নের কাজ করে থাকি। প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে তার সরকারের মেয়াদে ভিশন-২০২১, ২০৩১, বিভিন্ন মেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনাসহ ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এটা সংশোধন করতে হবে, পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু একটা কাঠামো, একটা দিকনির্দেশনা, একটা ভিশন থাকতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমরা শুধু বর্তমানেই নয়, ভবিষ্যত বংশধর ভবিষ্যত প্রজন্মের জীবনটাও যেন সুন্দর হয়, নিরাপদ হয়, আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়, সেইভাবেই আমরা পরিকল্পপনা নিয়ে যাচ্ছি। জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন, এই স্বাধীনতা যেন অর্থবহ হয়। দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনে এই বিশেষ বছরে আমরা জনগণের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দিতে পারছি। যা নিঃসন্দেহে ডিজিটাল জগতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করবে বলে বিশ্বাস করি।
×