ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিতর্কিত ব্যক্তিকেই ডিএসইর এমডি হিসাবে অনুমোদন দিল বিএসইসি

প্রকাশিত: ০৮:৪৯, ২২ জানুয়ারি ২০২০

বিতর্কিত ব্যক্তিকেই ডিএসইর এমডি হিসাবে অনুমোদন দিল বিএসইসি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সেই বিতর্কিত ব্যক্তিকেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জর এমডি হিসাবে নিয়োগের অনুমোদন দিল পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে কাজী সানাউল হকের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ওঠে। কিন্তু বিতর্ককে তোয়াক্কা না করে ডিএসই তার নামই অনুমোদনের জন্য্য প্রস্তাব পাঠায় ডিএসই। সেই ব্যক্তিকেই বুধবার অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) এমডি হিসেবে মামুন-উর-রশিদের নিয়োগ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন সভায় দুই স্টক এক্সচেঞ্জের এমডি নিয়োগের এ অনুমোদন দেয়া হয়। এর আগে গত ত জানুয়ারি ডিএসইর এমডি নিয়োগ-সংক্রান্ত কমিটিতে ‘নমিনেশন অ্যান্ড রিমিউনারেশন কমিটি (এনআরসি)’ কাজী সানাউল হককে এমডি হিসেবে প্রাথমিকভাবে বেছে নেয়া হয়। এরপর ৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ডিএসইর পর্ষদ সভায় তাকে এমডি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পর্ষদ সভায় ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের ছয়জন কাজী সানাউল হককে এমডি হিসেবে নিয়োগ দিতে সম্মতি জানান। তবে তিনজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালকসহ চারজন তার বিষয়ে আপত্তি জানান। পর্ষদ সভার পরপরই ওইদিন ডিএসই থেকে কাজী সানাউল হককে এমডি হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য বিএসইসিতে আবেদন করা হয়। এরপর ১২ জানুয়ারি ডিএসই থেকে সানাউল হকের বিষয়ে পর্ষদ সদস্যদের আপত্তিগুলো চিঠি দিয়ে বিএসইসিকে জানানো হয়। চিঠিতে আপত্তিগুলো বিবেচনায় নিয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে এমডি নিয়োগের প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য বিএসইসিকে অনুরোধ করা হয়েছে। ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথকীকরণে ডি-মিউচুয়ালাইজেশন স্কিমের পর ডিএসইর দ্বিতীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ২০১৬ সালের ২৯ জুন নিয়োগ পান সাবেক ব্যাংকার কে এ এম মাজেদুর রহমান। যার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের ১১ জুলাই। তারপর থেকেই পদটি খালি। খালি পদটি পূরণের জন্য দু’দফায় ব্যর্থ হয়ে গত ১০ ডিসেম্বর তৃতীয় দফায় এমডির সন্ধানে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিএসই। এতে সাড়া দিয়ে বেশ কয়েকজন ডিএসইর এমডির পদের জন্য আবেদন করেন। তবে আবেদকারীদের মধ্যে ডিএসইর এনআরসি ছয়জনকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকে। এদের মধ্যে ছিলেন আইসিবির সাবেক এমডি কাজী সানাউল হক, যমুনা ব্যাংকের সাবেক এমডি শফিকুল আলম, ন্যাশনাল ব্যাংক ও ডিএসইর সাবেক এমডি শরিফুল ইসলাম, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি রেজাউর রহমান, জনতা ব্যাংকের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) শরীয়ত উল্লাহ এবং গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের সাবেক সচিব ও সিএফও সারোয়ার খান। এর মধ্যে ডিএসইর সাবেক এমডি শরিফুল ইসলাম এবং জনতা ব্যাংকের সিএফও শরীয়ত উল্লাহ সাক্ষাৎকার দেননি। বাকি চারজনের সাক্ষাৎকার নিয়ে ডিএসইর নমিনেশন অ্যান্ড রিমিউনারেশন কমিটি কাজী সানাউল হক এবং যমুনা ব্যাংকের সাবেক এমডি শফিকুল আলমকে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রাখেন। তবে ডিএসইর বোর্ড সভায় শুধু কাজী সানাউল হকের নাম প্রস্তাব করা হয় এবং পর্ষদের একটি অংশের বিরোধিতা সত্ত্বেও বিএসইসিতে তাকে নিয়োগ দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়।
×