ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভোগান্তি আর লুটপাট?

প্রকাশিত: ০৭:১৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

  ভোগান্তি আর লুটপাট?

নগর মহানগরের অলিগলিতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির মহোৎসব যেন থামছে না- চলছে তো চলছেই। প্রতিবছরই চলে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। কারণ, ওই একটাই যে- সরকারী অর্থ লুটপাট করে নেয়া। রাস্তার জন্য যে টাকা বরাদ্দ থাকে তা সঠিকভাবে- সঠিক প্ল্যান অনুযায়ী ব্যয় করে রাস্তা মেরামত করা হলে কোন অবস্থায় ২৫ কি ৩০ বছরের আগে কোন রাস্তা পুনঃ সংস্কারের প্রয়োজন হতো না। শুধু কি রাস্তা? না, ক’দিন পরে ড্রেন খোঁড়াখুঁড়ি করে জনগণের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ানোও হচ্ছে। আর এক শ্রেণীর মানুষ আছে- যারা জায়গা বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িঘর নির্মাণের কাজ শেষ না করে ফেলে রাখে। যে জন্য কেউ আজ, কেউবা কয়েক মাস পরে, কেউবা পরের বছর বাড়ি নির্মাণের কাজ করে রাস্তাঘাটে-অলিগলিতে ইট, বালু, সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী রেখে ধুলাবালির সৃষ্টি করে যাচ্ছে। যা কিনা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। নির্মাণ সামগ্রী রাস্তা দখল করে রাখার কারণে নাগরিকদের পথ দিয়ে চলাচল করাও কিন্তু কষ্টকর হয়। আর রাস্তা নির্মাণ করে দিলেও আরেক জ্বালা- রাস্তা দখল করে হাটবাজার বসিয়ে দেয় রাস্তা দখলী হকাররা। এরা রাস্তা দখল করে হাটবাজার বসিয়ে রাস্তা জুড়ে ময়লা আবর্জনাও ফেলে রাখে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এরা প্রস্রাবও করে- এখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখার কারণে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করা ছাড়াও এডিস মশা উৎপাদনে সহযোগিতা করে মানুষ মারার ব্যবস্থা করে রেখেছে রাস্তা দখলী হকাররা। এ দিকেও নেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরদারি। থাকবেই বা কেন? সবাই আছে পকেট ভারি করার জন্য ব্যতিব্যস্ত। আর এ জন্যই সারাবছর ধরে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি চলছে তো চলছেই। রাস্তা ঠিক করার নামে সরকারী টাকা আত্মসাত করার মহোৎসবও চলছে- যেন থামছে না। এই মহোৎসবের ঠ্যালায় মানুষের চলাচলে বিঘ্নতা ঘটছে, ধুলায়- বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে- তাই বলতে হয়, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও ভবন নির্মাণের কারণে মহাদুর্ভোগে আছে শহরবাসী। এ থেকে হয়ত আর কোনদিন মুক্তি পাব না আমরা। কারণ রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ করার বরাদ্দকৃত অর্থের সিংহভাগ যদি হয় লোপাট তাহলে কিসের কি উন্নয়ন হবে? কিসের কি রাস্তা ঠিক হবে? বছরের পর বছর ধরে চলবে অলিগলিতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি- তাই তো মনে হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে
×