ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে মধুটিলা ইকোপার্ক সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২২ জানুয়ারি ২০২০

শেরপুরে মধুটিলা ইকোপার্ক সড়কের বেহাল দশা

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় দীর্ঘদিন যাবত বেহাল দশায় রয়েছে শেরপুরের সীমান্তবর্তী পর্যটন কেন্দ্র মধুটিলা ইকোপার্কে যাতায়াতের প্রধান সড়কটি। এতে ভ্রমণপিপাসুসহ যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জানা যায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পাহাড়ি পরিবেশের ৩৮০ একর বনভুমি নিয়ে ১৯৯৯ সালে ময়মনসিংহ বন বিভাগ মধুটিলা ইকোপার্কটি নির্মাণ করে। ওই ইকোপার্কে যাতায়াতের জন্য উপজেলার নন্নী বাজার হয়ে ৫ কিলোমিটার সড়ক ধরে এগোলেই মধুটিলা ইকোপার্কে যাওয়া যায়। ওই সড়কে নন্নী বাজার হয়ে পোড়াগাঁও ইউনিয়নের ৫/৬ গ্রামের মানুষ চলাচল করলেও প্রতি বছর শীত মৌসুমে একদিনেই প্রায় ২ শতাধিক বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে গড়ে ৫/৭ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। ২০১০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ওই ৫ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করা হলেও ৪ বছরের মাথায় অপ্রশস্ত ওই সড়কের বিভিন্ন অংশে পিচ, কার্পেটিং ও কোন কোন স্থানে ইট সুড়কি উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। তাই দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি বেহাল অবস্থায় থাকায় ইকোপার্কে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা বেকায়দায় পড়ছেন। তাদেরকে এখন ২০ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে সীমান্ত সড়ক দিয়ে ইকোপার্কে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সড়কটির বেহাল অবস্থা সম্পর্কে স্থানীয় ধোপাকুড়া এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, সীমান্ত সড়ক হওয়ার আগে ওই সড়ক দিয়ে স্থানীয় লোকজন ও ইকোপার্কের দর্শনার্থীরা বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল দিয়ে চলাচল করত। কিন্তু সড়কটি দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর যাবত বেহাল অবস্থায় থাকায় ওই সড়কে তেমন ছোট-বড় গাড়ি আসে না। সড়কের এমন বেহাল অবস্থায় এখন ১০ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগে ৪০ মিনিট। আর বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়। মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, মধুটিলা ইকোপার্কের শেরপুর-নন্নী-মধুটিলা ইকোপার্ক সড়কের নন্নী বাজার থেকে পার্ক পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার মূল সড়কটি খুবই খারাপ। এখন ওই সড়ক দিয়ে তেমন দর্শনার্থী যাতায়াত করেন না। তবে সীমান্ত সড়ক দিয়ে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহার করে পার্কে দর্শনার্থীরা যাতায়াত করছেন। তার মতে, সড়কটির দ্রুত সংস্কার সাধন করে চলাচল উপযোগী করে গড়ে তোলা হলে ইকোপার্কে যাতায়াতকারী দর্শনার্থীদের সংখ্যা দিন দিন আরও বাড়বে। এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নন্নী-মধুটিলা ইকোপার্ক সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই দ্রুত সংস্কারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
×