ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইরান-বিদ্বেষী নীতির ক্ষেত্রে মুদ্রার ওপিঠ দেখছে না আমেরিকা ॥ রাশিয়া

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ২২ জানুয়ারি ২০২০

ইরান-বিদ্বেষী নীতির ক্ষেত্রে মুদ্রার ওপিঠ দেখছে না আমেরিকা ॥ রাশিয়া

অনলাইন ডেস্ক ॥ রাশিয়া বলেছে, ইরানের ওপর আমেরিকার সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতির ফলে দেশটি তার পরমাণু কর্মসুচীর ক্ষেত্রে আর কোনো সীমাবদ্ধতা মানবে না বলে ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘের পরমাণু তদারকি বিষয়ক সংস্থা আইএইএ’তে নিযুক্ত রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি মিখাইল উলিয়ানোভ সম্প্রতি তিনি নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে দেয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইরাক অ্যাকশন গ্রুপের প্রধান ব্রায়ান হুক গর্বের সঙ্গে ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতির ফলাফল বর্ণনা করেন। কিন্তু এই নীতির ফলে ইরান যে পরমাণু সমঝোতায় নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতি থেকে সরে গেছে এবং এনপিটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে সে বিষয়ে হুকদের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমেরিকা ২০১৮ সালের ৮ মে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সে সময় ওই সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী তিন ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানকে পরমাণু সমঝোতায় অটল থাকার আহ্বান জানিয়ে ঘোষণা দেয়, তারা আমেরিকাকে ছাড়াই এ সমঝোতায় ইরানকে যেসব আর্থিক সুবিধা দেয়ার কথা ছিল তা বাস্তবায়ন করবে। সম্প্রতি ব্রায়ান হুক স্বীকার করেছেন, সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতির অংশ হিসেবে ইউরোপীয় দেশগুলোকেও পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছিল ওয়াশিংটন।কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলো কার্যত আমেরিকার আহ্বান বাস্তবায়ন করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যায়নি। তবে ইউরোপ পরমাণু সমঝোতার আওতায় ইরানকে আর্থিক সুবিধা দিতে ব্যর্থ হলে ইরান ধাপে ধাপে এটিতে দেয়া নিজের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন স্থগিত রাখে এবং সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন স্থগিত করে দেয়।ইরান বলেছে, ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন শুর করলে তেহরানও পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়ন শুরু করবে। এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ গত সোমবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিষয়টিকে আবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে নিয়ে যাওয়া হলে তেহরান পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি বা এনপিটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
×