ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঈশ্বরদী পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য

প্রকাশিত: ২২:৫১, ২২ জানুয়ারি ২০২০

ঈশ্বরদী পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য

স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ ঈশ্বরদী পৌরসভা হাজারো সমস্যায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ পৌরসভার রাস্তাঘাটের অবস্থা বর্তমানে শোচনীয়। ৪৫ বছর বয়সী এ পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তা এখন চলাচলের অযোগ্য। অলিগলিগুলো ভাঙ্গাচোরা। প্রধান সড়কগুলোর মধ্যে ঈশ্বরদী লোকোশেড রোড, চাঁদ আলীর মোড় ছাড়া কলেজ রোডের কিছু অংশ,রেলগেট থেকে শহরের প্রধান সড়ক বাজার রোড ও পাবনা রোডের আলহাজ¦ মোড় পর্যন্ত,বিমান বন্দর রোডের কিছু অংশ,পোস্ট অফিস মোড় থেকে উমিরপুর রোড ও সাঁড়া গোপালপুর মতি মোল্লার মোড় থেকে মহননবী পাড়া রোড,ঈশ্বরদী ইপিজেড যাওয়ার ঈশ্বরদী-পাকশী সড়কের কিছু অংশ। ঈশ্বরদী-কুষ্টিয়া মহাসড়ক, অরণকোলা সড়কের কৃষি ফার্ম থেকে গরুরহাট পর্যন্ত, কুষ্টিয়া সড়কের ভেলুপাড়া থেকে ইস্তা গ্রাম হয়ে পাকশী ইপিজেড পর্যন্ত, পিয়ারাখালী থেকে স্কুলপাড়া সড়ক, উপজেলা রোড থেকে হরিজনকলনী হয়ে কাচারীপাড়া সড়কের অবস্থা এতই নাজুক যে, এসব সড়ক দিয়ে গাড়ি চালানো তো দুরের কথা সুস্থ মানুষও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতেদ বিব্রত বোধ করে। সড়কের বেশির ভাগ স্থানে দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে বেশিরভাগ সময় পানি জমে থাকে। যানবাহন দূর্ঘটনা ঘটে। মানুষের চলাচলেও মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। ঈশ্বরদী বাজারের সঙ্কীর্ণ ও ময়লা অবর্জনায় পরিপুর্ণ ড্রেনবিহীন এসব রাস্তা বা সড়ক সংস্কার করা হয় না। বর্ষা মৌসুমে জমে থাকা একহাঁটু পানিতে বর্জ্য আবর্জনাপচা দুর্গন্ধ ও কাদা মিশ্রিত নোংরা পরিবেশের মধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভোগান্তির শেষ থাকেনা। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব রোড ও অলিগলিতে জমে কাদামিশ্রিত পানি। ড্রেনেজ সমস্যা এ পৌরসভার একটি অন্যতম সমস্যা। চাহিদা অনুযায়ি এখনও ড্রেন নির্মাণ করা হয়নি। নানা কারণে চাহিদা অনুযায়ী ড্রেনেজ ব্যবস্থা পৌর কৃর্তপক্ষ এখনও করতে পারেনি। কোন কোন এলাকায় সামান্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও তা বেশিরভাগ সময় ময়লা পানি ও আবর্জনায় ভর্তি থাকে। আবার জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পৌর এলাকায় অনেক এলাকায় অপরিকল্পিত বাসাবাড়ি, দোকানপাট, গাড়ে তোলায় ড্রেনের অধিকাংশ বেদখল হয়ে গেছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই ড্রেন উপচে নোংরা পানি রাস্তাকে প্লাবিত করে। বাসা বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
×