স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ স্রোতের কারণে খালের দুই পাশ ভেঙ্গে যাওয়ার অজুহাতে বাকেরগঞ্জ উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ ভাড়ানি খালের সুন্দরকাঠি বাজারসংলগ্ন স্থানে স্থায়ীভাবে দুই দিক দিয়ে খালের মধ্যে প্রায় এক শ’ ফুট জায়গায় বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রভাবশালী জহির মোল্লা ও তার সহযোগীরা খালে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করায় গত একমাস পর্যন্ত চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নলুয়া, ফরিদপুর ও দুধল ইউনিয়নের ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি কলসকাঠী, কালীগঞ্জ, বোয়ালীয়াসহ কয়েকটি হাট ও বাজারে যেতে তারা দীর্ঘদিন থেকে ভাড়ানি খাল ব্যবহার করে আসছিলেন। গত একমাস ধরে খালে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করায় বর্তমানে তাদের প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরত্ব ঘুরে বিকল্প পথে বাজারে আসা যাওয়া করছেন। এতে সময় নষ্ট হচ্ছে পাশাপাশি খরচও দ্বিগুণ গুনতে হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারের ক্রেতাদের ওপর। জানা গেছে, প্রশাসনকে কিছু না জানিয়েই স্রোতের কারণে খালের দুই পাশ ভেঙ্গে যাওয়ার অজুহাত দিয়ে দুইদিক দিয়ে খালের মধ্যে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। দুধল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ খান উজ্জ্বল জানান, খাল দিয়ে তার ইউনিয়ন পরিষদের মালামাল আনানেয়া করতেও সুবিধা হতো। এখন বিকল্প পথ দিয়ে মালামাল আনতে হয়। তাতে খরচ ও ঝামেলা দুটিই বেড়েছে।
সরকারী খালে স্থায়ী বাঁধ দিয়ে বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, খালে বাঁধ দেয়ার কোন সুযোগ নেই। এটা আইনসম্মত নয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত জহির মোল্লা বলেন, ভাঙ্গনের হাত থেকে গ্রামবাসীকে রক্ষা করতেই এ বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এলাকাবাসী না চাইলে বাঁধটি অপসারণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রবহমান কোন খালে বাঁধ বা ভরাট করা যাবে না। গত কয়েকদিন পূর্বে খালে বাঁধ দেয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। তার নির্দেশরা পেলে খালের প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে দ্রুত খালের মধ্যে নির্মিত বাঁধ অপসারণ করা হবে। বরিশাল পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক আব্দুল হালিম বলেন, প্রবাহমান কোন খাল বা নদীতে বাঁধ দেয়ার আইনগত কোন সুযোগ নেই। আর এ বিষয়টি আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি। তাই খুব দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
