ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাঘের শীতের নতুন ইনিংসে কাঁপছে নীলফামারী

প্রকাশিত: ০১:২০, ২১ জানুয়ারি ২০২০

মাঘের শীতের নতুন ইনিংসে কাঁপছে নীলফামারী

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ মাঘে নতুন ইনিংস খেলছে শীত। উত্তরের নীলফামারীর জনপথ শীতে কাঁপছে । বইছে মাঝারী শৈত্য প্রবাহ। আকাশ থেকে ঝড়ছে ঘন কুয়াশার শিশিরপাত। আজ মঙ্গলবার নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা উপজেলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক বাবুল হোসেন জানিয়েছেন, এখানে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৩ ডিগ্রি সে. নেমেছে। অপর দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হাকিম জানান, সৈয়দপুরে তাপমাত্রা ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাদের মতে গত দুইদিন আগে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির পর শীতের তীব্রতা ও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত দুই দিন ধরে সুর্য্যরে মুখ দেখা যায়নি। নীলফামারীর ডোমার, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ ও সদর উপজেলার মানুষও কনকনে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছেন। শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ফলে শহরে লোকজনের চলাচল কমে গেছে। এদিকে শীতের প্রকোপ বাড়ায় বিপাকে পড়েছে কর্মজীবী মানুষসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। শীতের প্রকোপে চরাঞ্চলে বাড়ছে ভোগান্তি। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ডিগ্রি কমে যাওয়ায় রাত ও সকাল বেলা শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হলেও শীতের পোশাকের অভাবে কষ্ট ভোগ করছেন শীতার্তরা। কনকনে ঠান্ডার কারণে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলছেন না শীতজনিত রোগে হাসপাতালে রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ এনামুল হক জানান, শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শীতে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড না থাকায় হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া খাওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে রোগীদের। ডিমলা উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম জানান উপজেলাটি তিস্তা নদী বিধৌত। এখানকার চরের ও গ্রামের মানুষজন তীব্র শীতে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। সরকারী ভাবে যা কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছিল তার বিতরন শেষ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তিনি ডিমলা উপজেলায় আরো ১০ হাজার কম্বর বরাদ্দের দাবি করেছেন। জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিকভাবে মনিটরিং করাসহ শীতার্তদের পাশে থাকতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
×