ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘রোহিঙ্গা নাগরিকত্বের বিষয়টি জাতিসংঘে তোলা হবে’

প্রকাশিত: ১০:৩২, ২১ জানুয়ারি ২০২০

 ‘রোহিঙ্গা নাগরিকত্বের বিষয়টি জাতিসংঘে  তোলা হবে’

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি বলেছেন, মিয়ানমারে যাতে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়া হয়, এ বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপন করা হবে। এ সময় রোহিঙ্গারা বলেছেন, নাগরিকত্ব না পেলে তারা মিয়ানমারে ফেরত যাবে না। সোমবার সকালে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠক ও মতবিনিময় করেন ইয়াং হি লি। রোহিঙ্গারা ১০ দফা দাবি উত্থাপন করে বলেন, মিয়ানমার সামরিক সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর রাখাইন রাজ্যে যে জুলুম, অত্যচার, নিপীড়ন, ধর্ষণ, গুম ও হত্যাকা- চালিয়েছে তা বর্বরোচিত। এ অবস্থাতে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত গেলে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে না। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দিলে সব রোহিঙ্গা এক সঙ্গে দেশে ফেরত যাবে। এর জবাবে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি বলেন, মিয়ানমারে যাতে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়া হয়, এ বিষয়ে জাতিসংঘে উত্থাপন করা হবে। মিয়ানমারে আড়াই বছর কারাভোগ করার পর ক্যাম্পে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা আব্দুল আজিজ, নূর মোহাম্মদ, আব্দুর রহিম, বশির আহমদ, মোহাম্মদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন বিশেষ দূত ইয়াং হি লি। তিনি তাদের কাছে মিয়ানমারের পরিস্থিতির কথা জানতে চান। উখিয়া থেকে সংবাদদাতা জানান, কুতুপালং ১৭ ক্যাম্পের ইনচার্জ ওবায়দুল্লাহর কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ৪০ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় রোহিঙ্গারা তাদের দাবি-দাওয়া উত্থাপন করেন। এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সড়ক পথে কুতুপালং ক্যাম্পে পৌঁছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি। বৈঠক শেষে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তিনি। এর আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতেও তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসেছিলেন। এর আগে রবিবার সকালে ইয়াং হি লি কক্সবাজারে এসে পৌঁছেন। তিনি সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। এ সময় রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। এছাড়া তিনি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, সরকারী উর্ধতন কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলবেন। সফরকালে জাতিসংঘের এ বিশেষ দূত রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ছাড়াও সীমান্ত পরিস্থিতি এবং মিয়ানমারকে পর্যবেক্ষণ করবেন। ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসেছিলেন ইয়াং হি লি।
×