ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগে বাধা হিসেবে ১৬টি কারণ চিহ্নিত : সংসদে শিল্পমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৮:৫৩, ২০ জানুয়ারি ২০২০

বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগে বাধা হিসেবে ১৬টি কারণ চিহ্নিত :  সংসদে শিল্পমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন সংসদে জানিয়েছেন, দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর পথে বাধা হিসেবে ১৬টি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সকল বাধা কাটাতে সরকার ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মো, মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শিল্পমন্ত্রী জানান, বিদেশি বিনিয়োগের ১৬টি অন্তরায় হলো- কারখানা স্থাপনের পর্যাপ্ত জমির অভাব, বিদ্যুত ও গ্যাস প্রাপ্তিতে সমস্যা, অনুন্নত অবকাঠামো, চাহিদা ও সময়মতো ঋণ না পাওয়া, কাঁচামালের সমস্যা, দক্ষ জনশক্তির অভাব, পণ্য বিপণনে সমস্যা, যথেষ্ট জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আগ্রহী উদ্যোক্তার অভাব, মুক্তবাজার অর্থনীতি, বাজারে অসম প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন সংস্থা থেকে ছাড়পত্র গ্রহণ, বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্সেশন সমস্যা, পলিসিগত সমস্যা, ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদের হার এবং গ্যাসের সমস্যা। ওই সকল বাধা দুর করতে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে শিল্পমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয় ঋণের শর্ত সহজীকরণ, শিল্প ঋণের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন, বিদেশি মেলায় অংশ গ্রহণ বাড়ানো, নতুন নতুন শিল্পনগরী ও শিল্প পার্ক স্থাপন, শিল্প কারখানায় বিদ্যুত ও গ্যাস সংযোগের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ, শিল্পজাত কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কহার কমানো, ছাড়পত্র সহজীকরণ, ব্যাংক সুদের হার কমানো এবং ট্যাক্সেশন সমস্যা দূরীকরণসহ নানামূখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আযান দিয়েও ভোটার আসবে না- ব্যারিস্টার রুমিন ॥ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, এখন আযান দিয়েও ভোটারদের কেন্দ্রে আনা যাচ্ছে না। কারণ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় সারাদেশে ভোটাররা নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণনীয় নোটিশের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পরিচালনার সকল দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এ বিষয়ে একটি দলের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী (ওবায়দুল কাদের) কিভাবে আশ্বস্ত করেন যে, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে- সেটা আমার মাথায় আসে না। ভোট সুষ্ঠু করার দায়িত্ব যখন তিনি নিচ্ছেন তার অর্থ কি? সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন দলীয় ক্যাডার ও প্রশাসন সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সরকারের সাহায্য করা, ঐচ্ছিক কোনো বিষয় নয়। বরং সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। বানরের জন্য বরাদ্দ চাইলেন শাজাহান খান ॥ মাদারীপুরের বানরের জন্য অর্থ বরাদ্দ ও প্রকল্প চান সরকারি দলের সাংসদ শাজাহান খান। এ জন্য তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীনের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। সোমবার জাতীয় সংসদে জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশের আলোচনায় শাজাহান খান এই দাবি জানান। মাদারীপুরে বানরের জন্য খাদ্য সরবরাহ প্রসঙ্গে নোটিশ দেন তিনি। শাজাহান খান বলেন, মাদারীপুর পৌরসভার চরমুগুরিয়া বন্দর পাট ব্যবসার জন্য প্রসিদ্ধ। এখান থেকে হাজার হাজার মণ পাট ভারতে রপ্তানি হতো। জনশ্রুতি আছে, ভারতের তুলারাম বসুরাজ শখের বশে দুটি বানর এনেছিলেন। বাড়তে বাড়তে এখন বানরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই হাজার। স্বাধীনতার পর তুলারাম গোডাউন আদমজী পাটকলের গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সেখানকার একজন কর্মকর্তা বানরগুলোকে খাবার দিতেন। ১৯৮১ সালে বিএনপি গোডাউন বিক্রি করে দেয়। বানরদের খাবার দেওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার এই বানরগুলোর জন্য খাবার সরবরাহ করেছিল। বর্তমানে সরবরাহ না থাকায় বানরগুলো রাস্তায় মানুষের খাবার ছিনিয়ে নেয়, দোকান থেকে খাবার ছিনিয়ে নেয়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে অত্যাচার করে খাবার ছিনিয়ে নেয়। এখানকার জনগণ বানরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। বানরকুল রক্ষার জন্য তাদের খাদ্যের জন্য অর্থ বরাদ্দ ও প্রকল্প গ্রহণ জরুরি।
×