ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভোটাররা যদি ভোট দিতে পারে তাহলে নগরবাসী লাঙ্গলে ভোট দিবে : হাজী মিলন

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ২০ জানুয়ারি ২০২০

ভোটাররা যদি ভোট দিতে পারে তাহলে নগরবাসী লাঙ্গলে ভোট দিবে  :  হাজী মিলন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ২০১৫ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশ নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ছিলেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন। তখন ভোট পেয়েছিলেন চার হাজার ৫১৯। অথচ দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ দুটি কমিটি রয়েছে। আছে ওয়ার্ড কমিটিও। সব মিলিয়ে দলের হিসাব অনুযায়ি নিজস্ব ভোট ব্যাংক কমপক্ষে ২০ হাজার। এই বিবেচনায় দক্ষিণে ১০ হাজারের বেশি ভোট রয়েছে। অথচ তিনি ভোট পেয়েছিলেন অর্ধেকের কম। এই বিবেচনায় নিজ দলের ভোটাররাই গতবার জাপার প্রার্থী থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। পাঁচ বছর পর এবারের নির্বাচনেও মেয়র পদে জাতীয় পার্টির সমর্থন পেয়েছেন তিনি। অনেক বড় আশা নিয়ে মাঠে নেমেছেন মিলন। বলছেন, বড় দুই দলের প্রার্থীরা বারবার নির্বাচিত হলেও ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে পারেননি। তাই জাপার প্রার্থী হিসেবে তিনিই একমাত্র পরিবর্তন আনতে পারেন। মানুষের চাহিদা অনুযায়ি ঢাকাকে সাজাতে চান পোস্টার মিলন হিসেবে খ্যাত সাইফুদ্দিন আহমেদ। যদিও শেষ পর্যন্ত কতোটুকু ভোটারদের সমর্থন পাবেন তাই দেখার বিষয়। সোমবার মিলনের পক্ষে মাঠে নামেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও। দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকা চষে বেরিয়েছেন তিনি। ভোটারদের দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভোটের প্রচারণায় সক্রিয় এই মেয়র প্রার্থী। বছরজুড়ে কারণে অকারণে তার পোস্টার নগরীতে দেখা গেলেও, নির্বাচন কেন্দ্রীক প্রচারণার মৌসুমে তিনি পোস্টার প্রদর্শন প্রতিযোগিতায় অনেকটাই ঢাকা পড়েছেন। প্রতিদিন কমবেশি প্রচারণায় থাকলেও মাঠে তার খুব একটা পোস্টার দেখা যাচ্ছে না। যদিও গ্রীণ ঢাকা গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে সব মেয়র প্রার্থীরা প্রচার শুরু করেছেন। অথচ পোস্টারের আবর্জনায় হতোমধ্যে ঢেকে গেছে নগরী। রাজপথ থেকে অলি-গলি-স্থাপনা-দেয়াল সব খানেই পোস্টার আর পোস্টার। এবারের নির্বাচনে পোস্টারের বৈচিত্র হলো মেয়র-স্থানীয় কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর তিন জনের পোস্টার একসঙ্গে প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে টানানো হচ্ছে। বড় দুই দলের মেয়র প্রার্থীদের বেলায় এমন দেখা গেলেও এক্ষেত্রে জাপার প্রার্থী কিছুটা পিছিয়ে। কারণ হলো ১২৯ ওয়ার্ডের মধ্যে দল থেকে সর্বোচ্চ ৪০জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তাই সব ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টারের সঙ্গে সামিল হওয়ার ভাগ্য হয়নি মিলনের। সোমবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে গিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন বলেছেন, বড় দুটি দল বারবার নির্বাচিত হয়ে ঢাকাবাসীর উন্নতি হয়নি। তাই মানুষ পরিবর্তন চায়, আর জাতীয় পার্টিই পারে এ পরিবর্তন এনে দিতে। তিনি বলেন, ঢাকাবাসী শান্তিতে বসবাস করতে চায়। এরশাদ শাসনামলে মানুষ শান্তিতে ছিলো। ভোটারা যদি ভোট দিতে পারে তাহলে নগরবাসী লাঙ্গলে ভোট দিবে। লাঙ্গল শান্তির প্রতিক। মিলন বলেন, গণসংযোগকালে আমি ঢাকাবাসীর বাপক সাড়া পাচ্ছি। জনগণ আমাকে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে জযযুক্ত করলে আমি নগরবাসীকে পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য ঢাকা উপহার দিবো। রাজধানীর নবাবগঞ্জ, বাটা মসজিদ, আজিমপুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ, বাংলামটর, মগবাজার, মৌচাক, শাহজাহানপুর, কমলাপুর স্টেশন, মানিক নগর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়ায় গণসংযোগ ও প্রচারণায় অংশ নেন তিনি। দশটির বেশি পথসভায় বক্তব্য রাখেন মিলন। এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আল মাহমুদ, হাজী মিলনের ছেলে রাকিব উদ্দিন আহমেদ আবির, মহানগর জাপা নেতা আকতার হোসেন আউয়াল, সাকিব উদ্দিন শিফান, কামাল হোসেন, সাবের হোসেন, শাকিল হোসেন লিটনসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রচারণায় সময় নেতাকর্মীরা বাদ্যযন্ত্র, লাঙ্গলসহ নেচে নেচে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন। মোহাম্মদপুরে জাপা প্রার্থীর প্রচারণায় কেন্দ্রীয় নেতারা ॥ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সেন্টুর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা। নেতারা মোহাম্মদপুরের সলিমুল্লাহ রোড, শের শাহ্ সুরী রোড, রাজিয়া সুলতানা রোড, কাজী নজরুল ইসলাম রোডে সেন্টুর পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতি, মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, নগর জাপা নেতা রফিকুল আলম সেলিম, হাজী মো. ইমাম হোসেন, আরিফুর রহমান প্রমুখ ।
×