ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দ্রুত বর্জ্য পরিষ্কারে ‘ক্লিন ২১’ নামে অ্যাপস তৈরী করবেন আসাদুজ্জামান আসাদ

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২০

দ্রুত বর্জ্য পরিষ্কারে ‘ক্লিন ২১’ নামে অ্যাপস তৈরী করবেন আসাদুজ্জামান আসাদ

অনলাইন ডেস্ক ॥ আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী মাঠে সরব প্রার্থীরা। নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি কাউন্সিলর পদেও মনোনয়ন দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলামোটর-শাহবাগসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২১ নাম্বার ওয়ার্ড। ঢাকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থাগারও রয়েছে এই ওয়ার্ডে। তবে এই এলাকায় পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না বলে নাগরিকদের অভিযোগ। বিশেষ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়। গুরুত্বপূর্ণ এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই সাবেক ছাত্র আসাদুজ্জামান আসাদ। লাটিম প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এখানকার বাসিন্দাদের চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়ে ওয়ার্ডটিকে সাজাতে চান আসাদ। এ লক্ষ্যে তিনি প্রণয়ন করেছেন তার নির্বাচনী ইশতেহার ‘স্বপ্নযাত্রা’। নির্বাচিত হলে দ্রুত বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ‘ক্লিন ২১’ নামে একটি অ্যাপস তৈরি করবেন বলে তার প্রতিশ্রুতি। যেখানে এলাকার মানুষ কোথাও অপরিচ্ছন্নতা দেখলেই ছবি তুলে অ্যাপসে আপলোড করতে পারবেন। ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যেই পরিচ্ছন্নতাকর্মী গিয়ে সেসব পরিস্কার করে দেবেন। অন্য যে কোনো সমস্যার কথাও নাগরিকরা জানাতে পারবেন এই অ্যাপসে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ তার বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম। এ এলাকার প্রতিটি অলি-গলি আমার চেনা-জানা। পাশাপাশি এ এলাকার প্রতিটি সমস্যাও আমার চোখে দৃশ্যমান। এ ওয়ার্ডটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও এখানকার বাসিন্দারা অনেক ক্ষেত্রে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত। এজন্য আমি এ ওয়ার্ডকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, নারীদের জন্য নিরাপদ, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ওয়ার্ড গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ‘স্বপ্নযাত্রা’ ইশতেহার দিয়েছি। নির্বাচিত হলে এ ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে চাই। নির্বাচিত হলে শাহবাগ, পরিবাগ, বাংলামটর এলাকায় সিউকিরিটি গেইটের মাধ্যমের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।আধুনিক মানসম্মত কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন, গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা, প্রতিটি স্কুলের সামনে অভিবাবকদের বসার স্থান তৈরী করা, রোড আইল্যান্ডগুলোতে বাহারী রকমের ফুলের চারা রোপন, মাদক নিয়ন্ত্রণে জনগণ ও প্রশাসনকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ টিম গঠন, মশা নিয়ন্ত্রণে মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা, ইভটিজিং ও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিরোধ সেল গঠন, ছিনতাই প্রতিরোধ, স্থানীয় তরুণদের ক্রিড়ামুখী করার জন্য নিয়মিত বিভিন্ন ধরণের খেলার আয়োজন করাসহ বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা জানান আসাদ। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করে শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকার যানজট নিরসনে কাজ করারও পরিকল্পনা রয়েছে। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে ডিএসসিসির ২১ নাম্বার ওয়ার্ডকে শ্রেষ্ঠ ওয়ার্ডে পরিণত করতে চান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ। প্রসঙ্গত, ডেঙ্গুর প্রকোপের সময়ে আসাদ ব্যক্তি উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় এডিস মশার লার্ভা নিধনের উদ্যোগ নেন। টানা ১৫ দিন মশকনিধনের ওষুধ স্প্রে করেন। এজন্য তিনি গড়ে তুলেছিলেন ৪০ জনের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল। আসাদ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ে পদও পেয়েছেন। সর্বশেষ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।
×