ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না ইয়াবা চোরাচালান ॥ মিয়ানমার থেকে বছরে আসছে ৬ হাজার কোটি টাকার ৪০ কোটি পিস

প্রকাশিত: ১০:৩৬, ২০ জানুয়ারি ২০২০

  কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না ইয়াবা চোরাচালান ॥ মিয়ানমার থেকে বছরে আসছে ৬ হাজার কোটি টাকার  ৪০ কোটি  পিস

শংকর কুমার দে ॥ মিয়ানমার থেকে প্রতিবছর দেশে চোরাচালান হয়ে আসছে প্রায় ৪০ কোটি পিস ইয়াবা, যার বাজার মূল্য ৬ হাজার কোটি টাকা। সরকার ইয়াবার মতো মাদক প্রতিরোধ করার জন্য জিরো টলারেন্স ঘোষণা করার পরও মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসা ঠেকাতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে চোরাচালান হয়ে আসা ইয়াবা উদ্ধার হচ্ছে মাত্র ৪ কোটি। মরণ নেশা ইয়াবা চোরাচালানের এই বিশাল অঙ্কের বাজার হারাতে চাচ্ছে না মিয়ানমার। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এ খবর জানা গেছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সদর দফতরে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অপরাধ পর্যালোচনা বিষয়ক এক সভায়ও তুলে ধরা তথ্যে বলা হয়েছে, সীমান্তে নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও ইয়াবার চালান বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে মনে করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে ইয়াবাসহ মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালাতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সীমান্তে নিñিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, ইয়াবার প্রধান উৎস মিয়ানমার। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের দুই পারের পাচারকারী সিন্ডিকেটগুলো বহাল তবিয়তে আছে। ভারতের কিছু অংশ ও থাইল্যান্ড থেকেও ইয়াবা আসছে। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসে ইয়াবা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে সীমান্তরক্ষীদের কারও কারও সহযোগিতায় দুই দেশের পাচারকারী সিন্ডিকেটগুলো এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া, সাবরাং, উখিয়া উপজেলার মনখালী, মহেশখালীর সোনাদিয়া, ঘটিভাঙ্গাসহ পেকুয়া উপজেলার মগনামা ও উজানটিয়া, কুতুবদিয়া ও আনোয়ারা উপজেলার সমুদ্রপথে খালাস করা হয় ইয়াবা। বিশেষ করে টেকনাফ উপকূল দিয়ে সবচেয়ে বেশি ঢুকছে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক। মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চোরাচালান আসা যেন অপ্রতিরোধ্য হয়েই উঠেছে। বন্দুকযুদ্ধ, আত্মসমর্পণ, আইনী সহায়তা ও পুনর্বাসনের আশ্বাস কোন কিছুতেই ভ্রুক্ষেপ করছে না ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের সদস্যরা। নানা কৌশলে টেকনাফ, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে আসছে রাজধানী ঢাকায়। পুলিশ সদর দফতরের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অতি সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চোরাচালান নিয়ে আসার পর র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে টেকনাফে দুুই রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। গত বুধবার ভোরে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন শামলাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো- উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হোসাইন শরীফের ছেলে আব্দুর হাসিম (৩০) এবং একই ক্যাম্পের শামসুল আলমের ছেলে মোহাস্মদ আইউব (৪০)। তারা দুজনই চিহ্নিত মাদক কারবারি বলে র‌্যাবের দাবি। এর আগে রাজধানী ঢাকায় আনার পথে কক্সবাজার এলাকায় উদ্ধার করা হয় প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের সাড়ে ৮ লাখ পিস ইয়াবার বড় চালান। বিজিবি অভিযান চালিয়ে দমদমিয়া সংলগ্ন নাফ নদীর ওমরখাল নামক এলাকায় একটি নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে এই ইয়াবার চালান উদ্ধার করা হয়। মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় চালান কক্সবাজারে টেকনাফে নিয়ে আসা হচ্ছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিজিবি ইয়াবার চালান উদ্ধার করে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে একটি নৌকা রেখে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে ৮ লাখ ৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়, যার বাজার মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা বলে বিজিবির দাবি। এত কিছুর পরও বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব ইউনিটের চোখে ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এনে রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনা অব্যাহত আছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কোন ইয়াবার চালান ধরা পড়ার পর ইয়াবা পাচারে নতুন কৌশল অবলম্বন করে ইয়াবা সিন্ডিকেট সদস্যরা। ইয়াবা পাচারের জন্য রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্সসহ নানা ধরনের গাড়িতে বহনের পাশাপাশি বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি ও কুরিয়ার সার্ভিসের পার্সেলের মাধ্যম কোন কিছুই বাদ যাচ্ছে না। বিজিবির সদর দফতর পিলখানায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনেও বলা হয়, মাদক পাচারসহ সব ধরনের চোরাচালান বন্ধে কাজ করছে বিজিবি। বাহিনীর সার্বিক কর্মকা- ও সফলতার লক্ষ্যে মাদকসহ সার্বিক চোরাচালান বন্ধে বিজিবি সততার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ইয়াবার চালান আসা কেন বন্ধ হচ্ছে না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, এ জন্য শুধু একটি বাহিনীকে দায়ী করা যাবে না। পরিবার, সমাজ, সামাজিক সংগঠন, সমাজকর্মী, সর্বোপরি সব বাহিনীর কাজ এটা। তিনি বলেন, ইয়াবার উৎপাদন কোথায় হয়, সোর্সটা কোথায়, সেটা জানতে হবে। অবশ্যই এটা মিয়ানমারে হয়। অন্যান্য দেশেও হয়। আমাদের দেশে যে হয় না, তাও নয়। মিয়ানমারের এই চরিত্রটা আপনারা বুঝে নেবেন। এই ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে তাদের সব সংস্থার সবস্তরের লোক জড়িত। সেখানে সবাই এর সঙ্গে জড়িত। এছাড়া এই ইয়াবা ব্যবসায়ের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে রোহিঙ্গা জড়িত আছে। ইয়াবা ব্যবসার জন্য মিয়ানমারেরও কিছু রোহিঙ্গা আছে। যাদের দিয়ে তারা এ ব্যবসা করায়। আমাদের দেশেও অনেক লোক এর সঙ্গে জড়িত। এক্ষেত্রে আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে তাদের কাস্টডিতে নিয়ে আসব। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, ইয়াবা চালান বন্ধ না হওয়ার প্রাথমিক কারণ হচ্ছে, মানুষ ইয়াবা সেবনে অভ্যন্ত হয়ে গেছে। এখন চাহিদা থাকলে তো জোগান আসবেই। এখনও কিছু রোহিঙ্গা ইয়াবা চালানের বাহক হিসেবে কাজ করছে। ইয়াবাসহ মাদক চোরাচালান বন্ধে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিনই ইয়াবার চালান আসছে, আমরা অভিযান চালাচ্ছি। ইয়াবা আটক করছি। পুলিশ সদর দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, জলসীমান্তের কাজ করছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনী। স্থল সীমান্তে কাজ করছে বিজিবি। তারপরও প্রায়ই ইয়াবাসহ বিভিন্ন চোরাচালান পণ্য আসছে, আটকও করছেন এই বাহিনীর সদস্যরা। মিয়ানমারে তো আছেই। বাংলাদেশেও অনেক অসাধু লোক এই ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। দুই দেশে অবস্থান করা কিছু রোহিঙ্গাও জড়িত আছে এই ইয়াবা ব্যবসায়ের সঙ্গে। যারা ইয়াবার সঙ্গে ধরা পড়ছে, তারা মূলত বাহক। মূল ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে ধরা গেলে ইয়াবার চালান কমে আসবে বলে পুলিশ কর্মকর্তার দাবি। গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবা পাচারে প্রতিনিয়ত কৌশল বদলায়। নারী-পুরুষের পেটের ভেতরে, গাড়ির ইঞ্জিনের মধ্যে, কম্পিউটারের সিপিইউর ভেতর, মাছের পেটে, বাচ্চাদের প্যাম্পাসে, কাঁঠাল ও জুতার মধ্যে ইয়াবা ঢাকায় আনে ব্যবসায়ীরা। তবে তারা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ মনে করে কুরিয়ার সার্ভিস ও ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে পার্সেল করে পাঠায় ঢাকায়। বিভিন্ন পণ্যের মধ্যে বিশেষ কায়দায় ইয়াবা ঢুকিয়ে পার্সেল করা হয়, যা সহজে ধরার উপায় খুবই কঠিন। জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (ইউএনওডিসি) মতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ইয়াবার পিস বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৪০ কোটি, যার বাজার মূল্য ৬ হাজার কোটি টাকা। প্রতিটি ক্ষুদ্রাকার ইয়াবা বিক্রির বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ১৫০ টাকা। তবে প্রতিটি ইয়াবার বাজার মূল্য আরও অনেক বেশি। দেশে যে ৪ কোটি ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে তার মধ্যে উদ্ধার হচ্ছে মাত্র ৪ কোটি ইয়াবা পিস। উদ্ধার হওয়া ইয়াবা বিক্রি হওয়ার মাত্র ১০ শতাংশ। বাংলাদেশে যেসব ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে তার বেশিরভাগেরই উৎসভূমি মিয়ানমার। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক কার্যালয়ের তথ্যমতে, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ দেশে ইয়াবা সরবরাহ করে মিয়ানমার। মিয়ানমার থেকে ২০০৬ সালে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার শুরু হয়। ২০১২ সালে চীন ও থাইল্যান্ডের মধ্যে চুক্তির পর মিয়ানমারের মাদক উৎপাদনকারীদের জন্য সেসব দেশে পাচার কঠিন হয়ে পড়ে। তখন থেকেই তারা বাংলাদেশকেই মাদক পাচারের প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে। মিয়ানমারের ওয়া এবং কোকাং নামের আদিবাসী সম্প্রদায় এই মেথাএম্ফিটামিন পিল বা ইয়াবার উৎপাদনকারী। এই দুই গোষ্ঠীর লোকজন একসময় আফিম ও হেরোইন উৎপাদনে জড়িত হয়। আর্থিক, সামাজিক, মানবিক নানাভাবে ইয়াবার আগ্রাসন বাংলাদেশ জুড়ে ছড়াচ্ছে। পুলিশ সদর দফতরের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশের সবচেয়ে বড় ইয়াবার চালান ধরা পড়ে ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি। র‌্যাব-৭-এর একটি দল পতেঙ্গা বহির্নোঙর থেকে ২৮ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করে। এই বিপুল পরিমাণ ইয়াবার মালিক চট্টগ্রামের একুশে প্রপার্টিজ নামের একটি হাউজিং প্রতিষ্ঠানের মালিক আলী আহমেদ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী মহিউদ্দিন ও হামিদুল্লাহ। এই চালানের ইয়াবা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হতো। এদের তিনজনই গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ২০ লাখ ইয়াবার চালান আটক করা হয় গত বছরের ১৬ এপ্রিল। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা ‘দানবীর’ বলে পরিচিত মোহাম্মদ মোজাহের এই চালান আনেন। এ ঘটনায় ৮ জনকে আটক করা হয়। মোজাহের গ্রেফতারের পর তার পরিবারের কেউ আর আনোয়ারায় থাকেন না। ছেলেমেয়েরা বিদেশে থাকেন। গত বছরের ২৩ জুন চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সী-বিচ থেকে ১৫ লাখ ইয়াবাসহ একটি ট্রলার আটক করে র‌্যাব। এ সময় মিয়ানমারের ৫ নাগরিকসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ইয়াবার উৎপাদন ও বাজারজাত পুরোপুরি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেয়া বিজিবির এক গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সংসদ ও দেশটির শান প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা, মংডু ও বুথিডং এলাকার সীমান্তরক্ষী, সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, কাস্টমস, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার উর্ধতন কর্মকর্তারা সরাসরি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাদের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ২৬টি স্থানে ৪৯টি কারখানাও গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতন শুরু হওয়ার পর সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে চলে আসার পর ইয়াবা পাচার কমে যাবে বলে মনে করেছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। কিন্তু ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিতাড়ন করে দিলেও ইয়াবা চোরাচালান ঠিকই চালু রয়েছে। রোহিঙ্গা আসার পর মিয়ানমারের নাগরিক ইয়াবাসহ ধরা পড়ার ঘটনা অব্যাহত আছে। মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও মিয়ানমার-এই দুই দেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠকের সময় ইয়াবা কারখানা এবং এর মালিকদের একটি তালিকা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয় বাংলাদেশ। মিয়ানমার বিভিন্ন সময়ে প্রতিশ্রুতি দেয় যে, মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান আসা বন্ধে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু বাস্তবে মিয়ানমার নামের দেশটি ইয়াবা বন্ধে কোন ধরনের সহযোগিতা করেনি। আর এখন ইয়াবা যে মিয়ানমার থেকে আসছে, এটা তারা মানতেই চায় না।
×