ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শহীদ জননীর আন্দোলনের ২৮ বছর পূর্তিতে আলোচনা

রাজনীতি থেকে ধর্ম আলাদা করলেই মুক্তিযুদ্ধের সার্থকতা

প্রকাশিত: ১০:১৮, ২০ জানুয়ারি ২০২০

  রাজনীতি থেকে ধর্ম আলাদা করলেই মুক্তিযুদ্ধের সার্থকতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজনীতি থেকে ধর্ম আলাদা করতে পারলেই কেবল মুক্তিযুদ্ধের সার্থকতা সফল হবে। অন্যথায় সফলতা আসবে না। শুধু আতশবাজি করলে হবে না, মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে তুলে ধরতে হবে। রবিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নাগরিক আন্দোলনের ২৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বিশিষ্টজনরা এসব কথা বলেন। এ দিনেই একাত্তরের ঘাতক-দালাল-নির্মূল কমিটি যাত্রা শুরু করে। সংগঠনটির আত্মপ্রকাশের দিন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত বছরব্যাপী নানা কর্মসূচী তুলে ধরা হয়। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবির। সভার শুরুতে সংগঠনের প্রয়াত ৩৩ সদস্যকে স্মরণ করে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। এর আগে রবিবার সকালে মিরপুরে শহীদজননী জাহানারা ইমামের সমাধিতেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ ছাড়াও চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী নানা কর্মসূচী পালন করা হয়। শাহীদজায়া শ্যামলী নাসরিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ লতিফ মমতাজ, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়। সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল। সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ফিরিয়ে আনতে ২৮ বছর ধরে নির্মূল কমিটি সংগ্রাম করে আসছে। কিন্তু এখনও সংবিধানে সাম্প্রদায়িক চিহ্ন রয়ে গেছে। তবে এ সময় আমাদের অনেক সাফল্যও এসেছে, যা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। কারণ অনেক যুদ্ধাপরাধীর বিচার ইতিমধ্যে হয়েছে এবং এখনও চলছে। বাহাত্তরের মূল সংবিধান পুনর্বহাল করতে হবে। কারণ বঙ্গবন্ধুর বাহাত্তরের সংবিধানে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের বর্তমান সংবিধানে এর বাস্তবায়ন নেই। যার কারণে ধর্মের নামে সহিংসতা, সংঘাত বাড়ছে। আমরা যদি রাজনীতি থেকে ধর্মকে আলাদা করতে পারি তাহলে মুক্তিযুদ্ধের স্বার্থকতা সফল হবে। মুজিববর্ষ উদ্যাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৪৮ বছর পরেও সরকারীভাবে বঙ্গবন্ধুর একটি জীবনী প্রকাশিত হয়নি। অথচ মুক্তিযুদ্ধের সরকার ক্ষমতায় আছে। মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে তুলে ধরতে হবে, শুধু আতশবাজি করলে হবে না। সভায় অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী কেন এখনও সরকারীভাবে হয়নি এটা আমাদের ব্যর্থতা। তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে এক মিলিয়ন ডলারের বঙ্গবন্ধু পিস প্রাইজ চালু করা উচিত। এটি হতে হবে নোবেল পুরস্কারের সমমান। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যারা ভূমিকা রাখবে তারা এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন। আশা করি ১৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণায় বিষয়টি থাকবে।
×