ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কালকিনিতে ব্যাংকের টাকা চুরি করে ম্যানেজারসহ পাঁচজন শ্রী ঘরে

প্রকাশিত: ০২:০৬, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

কালকিনিতে ব্যাংকের টাকা চুরি করে ম্যানেজারসহ পাঁচজন শ্রী ঘরে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরের কালকিনিতে নিজ ব্যাংকের টাকা চুরি করে ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারসহ পাঁচজনের স্থান হয়েছে শ্রী ঘরে। এ চুরির ঘটনায় ব্যাংক ভবনের মালিক মোঃ আলো সরদার বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আজ শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চত করেছেন থানা পুলিশ। পুলিশ ও এলাকা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফাঁসিয়াতলা হাটে মোঃ আলো সরদার নামের এক ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে তার ভবনের একটি রুম ভারা নিয়ে ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকিং এর একটি শাখা চালু করেন ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তারা এ শাখাটি খুলে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু গত ১৫ জানুয়ারি রাতে ওই ভবনের কেঁচিগেট ভেঙ্গে চোর চক্র ভিতরে প্রবেশ করে এজেন্ট ব্যাংকের ভোল্টে রাখা সমস্ত টাকা নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ব্যাংকের গেট ভাঙ্গা দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দিলে কালকিনি থানার ওসি মোঃ নাছির উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সনিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। পরে ব্যাংকের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার ও কর্মকর্তারা-কর্মচারিরা তথ্য দিলে তাতে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। প্রাথমিকভাবে ম্যানেজার এরশাদ আলী ও ক্যাশিয়ার মহসিন মৃধাসহ ৫জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন থানা পুলিশ। এতে করে তারা টাকা আত্মসাৎ করার জন্য সবাই মিলে এ চুরি করেছেন বলে স্বিকার করেন। পরে তাদের দেয়া তথ্য মত ব্যাংকের চুরি হওয়া টাকা বিভিন্ন স্থান থেকে ৪লক্ষ ৬২হাজার ৮৮০টাকা উদ্ধার করেন। পরে ভবনের মালিক মোঃ আলো সরদার বাদি হয়ে ম্যানেজার এরশাদ আলী, ক্যাশিয়ার মহসিন মৃধা, নুর মোহাম্মদ সরদার, সালাউদ্দিন সরদার, ও আলী সরদারকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। পরে থানা পুলিশ তাদের আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করে। এ চুরির ঘটনা জন সাধারনরে মাঝে যানাযানি হলে ব্যাপক সমালচনার ঝর সৃষ্টি হয়েছে। মামলার বাদি মোঃ আলো সরদার বলেন, এলাকার সাধারন জনগনকে ফাঁসানোর জন্য ব্যাংকের ম্যানেজারসহ সবাই মিলে এ চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই আমি তাদের নামে মামলা করেছি। এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মোঃ নাছির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাংকের দায়িত্বে থাকা লোকজনদের জিজ্ঞাসা করলে তারা নিজেরাই এ টাকা চুরি করেছেন বলে স্বিকার করেন। পরে তাদের তথ্য মত বিভিন্ন স্থান থেকে ৪লক্ষ ৬২হাজার ৮৮০টাকা উদ্ধার করি। এবং ভবনের মালিক আলো সরদার বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করলেন। পরে আমরা তাদের আটক করে আদালতে প্রেরন করি।
×