ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টঙ্গীতে বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু, রবিবার আখেরী মোনাজাত

প্রকাশিত: ০০:৩৭, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

টঙ্গীতে বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু, রবিবার আখেরী মোনাজাত

মোস্তাফিজুর রহমান টিটু/নুরুল ইসলাম, টঙ্গী থেকে ॥ নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আজ শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে তাবলীগ জামাতের ৫৫তম বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এবারের বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সা’দ কান্ধলভী তাবলীগ অনুসারী মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। রবিবার আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিনদিন ব্যাপী এবারের এজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এজতেমা ময়দানের জিম্মাদার প্রকৌশলী মহিবুল্লাহ জানান, এবারের বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথমদিন শুক্রবার বাদ ফজর থেকে আম বয়ান করছেন দিল্লীর মুফতি ওসমান। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মুফতি আব্দুল্লাহ মুনসুর। এরপর মুফতি আসাদুল্লাহ জু’মা নামাজের আগ পর্যন্ত বয়ান করেন। বার বয়ান তরজমা করেন মুফতি ওসামা ইসলাম। আজ (শুক্রবার) এজতেমা ময়দানে জু’মার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জু’মার নামাজের ইমামতি করবেন তাবলীগের শুরা সদস্য বংলাদেশের মাওলানা মোশারফ। বাদ জু’মা বয়ান করবেন ভারতের মুফতি চেরাগ আলী। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন বাংলাদেশের মাওলানা আশরাফ আলী। ইতোমধ্যে মুসল্লীরা এজতেমা ময়দানে এসে নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। নানা বিড়ম্বনাকে উপেক্ষা করে এবারের বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লী টঙ্গীর এজতেমা ময়দানে ছুটে আসেন। মুসল্লীদের আসা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এদিনটি জুমা’ বার হওয়ায় সকাল থেকেই টঙ্গী ও আশপাশ এলাকার লাখো মুসল্লীর ঢল নামে টঙ্গীর তুরাগ তীরে। এজতেমা মাঠে জুমা’র নামাজে অংশ নিতে এজতেমায় যোগদানকারী মুসল্লী ছাড়াও অনেক মুসল্লী ভোর থেকেই এজতেমাস্থলে ছুটে আসছেন। আগত দেশ-বিদেশের মুসল্লিদের পদচারনায় শিল্প শহর টঙ্গী এখন যেন ধর্মীয় নগরীতে পরিণত হয়েছে। এদিকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্বের ৩১টি দেশের ১৪০৩জন মুসুল্লী এজতেমার এ পর্বে অংশ নিতে ময়দানে এসে পৌছেছেন। এবারের এজতেমায় যোগ দিতে আসা এক মুসুল্লী বৃহষ্পতিবার মারা গেছেন। তার নাম কাজী আলাউদ্দিন (৬২)। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার থানার চানপুর গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে। এ ছাড়াও এজতেমায় যোগ দিতে আসার পথে টঙ্গীতে গত বুধবার দু’মুসুল্লী মারা গেছেন। এদের মধ্যে ওইদিন সকালে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার টেংরাকান্দি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে গোলজার হোসেন (৪০) এবং দুপুরে টঙ্গী রেল ষ্টেশনে নরসিংদীর বেলাবো থানার বিরবা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে সুরুজ মিয়া (৬০) মারা যান। এবারের এজতেমার প্রথম পর্বের মতো এ পর্বেও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ রয়েছে। এজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রয়েছে কড়া নজরদারি। চেকপোষ্ট, মেটাল ডিটেক্টর, ওয়াচ টাওয়ার, সিসি টিভির মাধ্যমে পুলিশ ও র্যাবের কন্ট্রোল রুম থেকে তা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা খিত্তায় খিত্তায় অবস্থান নিয়ে পর্য়বেক্ষণ করছেন।
×