অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কৃষি উৎপাদন বাড়াতে আগামী পাঁচ বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকায় ৬৫ লাখ টন নন-ইউরিয়া সার আমদানি করার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রায় ৯২০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় ১৭০ সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করবে সরকার।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় নন-ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মাৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রতিবছর ১৩ লাখ মেট্রিক টন করে নন-ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এতে করে প্রতিবছর খরচ হবে ৫ হাজার কোটি টাকা।
জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাউন্টার গ্যারান্টির আওতায় প্রতিবছর আনুমানিক ৫ হাজার কোটি টাকা এলটিআর ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে বিএডিসি কর্তৃক এ সার আমদানি করা হবে। টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য জনস্বার্থে এবং নিশ্চয়তার সঙ্গে সার আমদানির প্রয়োজনে ২০২০ সাল হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ে রাশিয়া, সৌদিআরব, মরক্কো, তিউনিসিয়া, জর্দান, বেলারুশ এবং কানাডা থেকে জি টু জি চুক্তির মাধ্যমে এসব সার আমদানি করবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)।
এদিকে, দুর্যোগ মোকাবেলায় ১৭০ সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করছে সরকার। এর মধ্যে ভোলা জেলায় ৯৭ এবং চট্টগ্রামে ৭৩ সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৯১৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এসব সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ সংক্রান্ত দুটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মাৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে অনুমোদিত ‘বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র’ প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম জেলায় ৭৩ সাইক্লোন শেল্টার ও তৎসংলগ্ন সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজের (প্যাকেজ নং এলজিইডি এমডিএসপি সিএইচআই ১৪-১৫ এনডব্লিউ-১০) ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। ৩৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এ শেল্টারগুলো নির্মাণ কাজটি পেয়েছে ওয়াহিদা কনস্ট্রাকশন।
তিনি আরও জানান, একই প্রকল্পের আওতায় অন্য একটি প্রস্তাবে ভোলা জেলায় ৯৭ সাইক্লোন শেল্টার ও তৎসংলগ্ন সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজের (প্যাকেজ নং এলজিইডি এমডিএসপি সিএইচআই ১৪-১৫ এনডব্লিউ-১১) ক্রয় প্রস্তাবেরও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ৫২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কাজটি বাস্তবায়নে কাজ পেয়েছে তমা কনস্ট্রাকশন।
এছাড়াও বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়নাধীন পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কনস্ট্রাকশন অব টেম্পোরারি (সার্ভিস) জেটি ইউথ কানেকশন রোড এট পায়রা পোর্ট’ কাজের ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ৬৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি বাস্তবায়নে নির্মাণ কাজের প্রস্তাবটি যৌথভাবে কাজ পেয়েছে আরবিএল, এনইএল ও এফকে লিমিটেড।
