ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা সংসদে

প্রকাশিত: ০৮:৪৯, ১৫ জানুয়ারি ২০২০

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা সংসদে

সংসদ রিপোর্টার ॥ দেশের পুঁজিবাজারের অব্যাহত ধ্বসে উদ্বেগ প্রকাশ করে এর হাত থেকে বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামালের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ এবং বিএনপির হারুনুর রশীদ। তাঁরা বলেন, বিনিয়োগকারীরা আজ রাস্তায় বসে গেছে। সর্বস্ব হারিয়ে তারা নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। কিন্তু সরকারের এ ব্যাপারে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেই। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে তাঁরা এ হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ফ্লোর নিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিনিয়োগকারীরা আজ রাস্তায় বসে গেছে। তাদের কী দেখার কেউ নেই। সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন জগদ্দল পাথরের মত বসে আছে। তালিকাভূক্ত ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ নেই। সব দোষ দেওয়া হয় মেম্বারদের ঘাড়ে। তারা যে পচা কোম্পানিগুলো এনে এনে আমাদের প্রতিদিন নিঃস্ব করে দিচ্ছে, তারজন্য কোনো কমিশন গঠন করা হচ্ছে না। আজ পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই। তিনি বলেন, ১০ টাকার শেয়ার ৩০ টাকায় বাজারে আনার জন্য ইস্যু ম্যানেজারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনা হচ্ছে না। এসব বিষয়ে আমি অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নিশ্চয়ই একথা প্রধানমন্ত্রীর কানেও যাবে। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করলে আমাদের শেয়ার মার্কেট ফিরে আসতে পারে। না হলে শেয়ার মার্কেটের উথানের কোনো উপায় দেখি না। কাজী ফিরোজ রশিদ আরও বলেন, দুর্বল কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তি বন্ধ করতে হবে। শেয়ারবাজারের এই অবস্থার একমাত্র কারণ দুর্বল কোম্পানি। যাদের কোনো ভিত নাই, তাদের শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কিছু দুর্বল কোম্পানি, পচা ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের রাস্তায় নামিয়েছে। এজন্য আমি বলেছিলাম একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেন। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো কমিশন গঠন করা হয়নি। একজন মানুষকেও শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। দুদক এখানে নিশ্চুপ। বাজার থেকে মুলধন ৯৫ হাজার কোটি টাকা নেই। আমি ৪০ বছর ধরে শেয়ার বাজারে আছি। মজার বিষয় হলো বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিকিউরিটি একচেঞ্জ কমিশন যারা আমাদের দেখাশুনা করবেন তারাই পচা কোম্পানিগুলো ছেড়ে দিচ্ছেন। এভাবে বিনিয়োগকারীরা শেষ হয়ে যাচ্ছে। বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, এক সপ্তাহ যাবত শেয়ার বাজারের জন্য মানুষ রাস্তায় শুয়ে পড়েছে। তারা কান্নায় বিপর্যস্ত। লাখ লাখ পরিবার সম্পূর্ণ ধুলায় মিশে যাচ্ছে। এরপরও এব্যপারে সরকারের কোনো পদক্ষেপ বা সরকার এব্যপারে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন বলে দৃশ্যমান নয়। সংসদে তিনদিনেও আশ্বস্ত হতে পারছি না। এঅবস্থা থেকে বিনিয়োগকারীদের বাঁচানোর জন্য কি ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন তা অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান তিনি।
×