ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সমন্বিত ও সামগ্রিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এসডিজির লক্ষ্যসমূহ অর্জন করা হবে ॥ এলজিঅঅরডি মন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:৫২, ১৫ জানুয়ারি ২০২০

সমন্বিত ও সামগ্রিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এসডিজির লক্ষ্যসমূহ অর্জন করা হবে ॥ এলজিঅঅরডি মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সমন্বিত ও সামগ্রিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এসডিজির লক্ষ্যসমূহ অর্জন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অডিটোরিয়ামে মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত এসডিজি অগ্রগতি পর্যালোচনা, ২০২০ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম-প্রধান আবু মুহাম্মদ মইনুদ্দীন কাদেরী। এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ জহিরুল ইসলাম, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সুশঙ্কর চন্দ্র আচার্য, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বক্তব্য প্রদান করেন। এলজিঅঅরডি মন্ত্রী বলেন,টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) একটি বহুমাত্রিক পরিকল্পনা। এতে মানব উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশগত উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত। এজন্য আমরা সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি)-র অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান কাজে লাগাবো। তিনি বলেন এসডিজির সফল বাস্তবায়ন নির্ভর করবে মূলত জনগণের উপর। তাই এসডিজির স্থানীয়করণ বা লোকালাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ। তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের জন্য মাথাপিছু আয়,মানব সম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুগুরতা সূচক এ তিনটি সূচকের যে কোন দুটি অর্জনের শর্ত থাকলেও বাংলাদেশ তিনটি সূচকের মানদন্ডেই উন্নীত হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরো বৃদ্ধির জন্য সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। কর্মশালায় জানানো হয়, এসডিজি’র ১৭টি অভিষ্ট রয়েছে। প্রতিটি অভিষ্টের জন্য একাধিক টার্গেট চিহ্নিত করে ১৬৯টি টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মানুষের স্বাধীনতা, সমতা ও মানবাধিকারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত। এতে কাউকে বাদ না দিয়ে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে এগিয়ে যাবার কথা বলা আছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ১৬টি অভিষ্ট এবং ৫৯টি টার্গেট বাস্তবায়নে জড়িত। উক্ত টার্গেট সমূহের মধ্যে ১৩টিতে প্রধান, ১টিতে সহ প্রধান এবং ৪৫টিতে সহযোগী বাস্তবায়নকারী হিসাবে স্থানীয় সরকার বিভাগ জড়িত।
×