ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়া পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ছে

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ১৪ জানুয়ারি ২০২০

কলাপাড়া পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ পৌরবাসীর অসচেতনতা ও পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যববস্থা থাকলেও এর সুফল মিলছে না। বরং ড্রেন ব্যবহৃত হচ্ছে ময়লা আবর্জনার ভাগাড় হিসেবে। এমনকি টয়লেটের আউটলাইন পর্যন্ত দেয়া রয়েছে ড্রেনের সঙ্গে। ফলে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন আটকে ময়লা আবর্জনা পচে পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। মশার উপদ্রব বাড়ছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বাতাসে। ফলে কলাপাড়া পৌরবাসী প্রতাশিত সুফল পাচ্ছেন না। কলাপাড়া পৌরসভার প্রকৌশলী মিজানুজ্জামান জানান, তিন দশমিক ৭৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভায় কিলোমিটার ১২ দশমিক ৫০০ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। এর মধ্যে আধুনিক ঢাকনাযুক্ত ড্রেন রয়েছে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার। শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য এ ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এসব ড্রেনে শহরবাসী বাসাবাড়িসহ দোকানপাটের কাগজ, পলিথিন থেকে শুরু করে বাসাবাড়ির বর্জ্য, ময়লা ফেলছে। ফলে এসব আটকে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়। ওই ময়লা পচেগলে দুষণ ছড়াচ্ছে। অনেক সময় অপচনশীল ময়লা পর্যন্ত ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া শত শত বাসাবাড়ির টয়লেটের আউটলাইনের সংযোগ দেয়া রয়েছে ড্রেনের সঙ্গে। মলমুত্র ড্রেনে পড়ছে। রাস্তা দিয়ে হাটলে পর্যন্ত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নানাবিধ রোগব্যধি ছড়াচ্ছে। পৌরকর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পৌরবাসীকে সতর্ক করতে কয়েকদফা মাইকিং করেছে। কিন্তু প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে অসচেতন মহলটি ড্রেনকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। ১৯৯৮ সালে গঠিত এ পৌরসভায় বর্তমানে ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। একারণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রাখা জরুরি। ড্রেনে জমানো ময়লা-আবর্জনা পচে-গলে দুষণ ছড়ানোর পাশাপাশি মশার জন্ম হচ্ছে। বাড়ছে মশার উপদ্রব। বিভিন্ন মহল্লা ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ ড্রেনে বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলে একাকার করে রাখা হয়েছে। পানি চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে আছে। অতি সম্প্রতি তিন দিনের বৃষ্টিতে ড্রেনগুলো পানি আটকে মশক উপদ্রব বেড়ে গেছে। শত শত টয়লেটের আউটলাইনের সংযোগ দেয়া আছে। এমনকি দোকানপাটের বর্জ্য কাগজপত্র, পলিথিন পর্যন্ত ড্রেনে ফেলা হয়। কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার জানান, সাধারণ ড্রেনের পাশাপাশি আধুনিক ঢাকনাযুক্ত গভীর ড্রেন করা হয়েছে। আরও পর্যায়ক্রমে করা হচ্ছে নতুন ড্রেন। তারপরও অসচেতন পৌরবাসীকে সচেতন করতে কয়েকদফা মাইকিং করা হয়েছে। এরপর টয়লেটের আউটলাইন বন্ধ না করলে এবং যারা বর্জ্য ড্রেনে ফেলবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×