ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সারতাজ আলীম

পর্যটন শিল্পের বিকাশে প্রয়োজন দক্ষ কর্মী

প্রকাশিত: ১২:১৭, ১৪ জানুয়ারি ২০২০

পর্যটন শিল্পের বিকাশে প্রয়োজন দক্ষ কর্মী

মাস শেষে চাকরি থেকে বেশ মোটা অঙ্কের বেতন আসলে জীবন এবং ক্যারিয়ারের দিক পরিবর্তন করার কথা ভাবেন খুব কমজনই। আর চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা হওয়াটা রীতিমতো একটা দুর্র্ধর্ষ কাজ। এমন দুর্র্ধর্ষ কাজ শুরু অনেকেই করতে পারেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন হাতে গোনা মানুষই। সফলরা বলেন লেগে থাকতে হবে। গল্পটা এমনই এক লেগে থাকা মানুষের। ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর ম্যানেজমেন্টসহ বেশ কয়েকটি চাকরির পর যাকি এস. বারীর কর্মস্থল হয় সৌদি এয়ারলাইন্সে। নিজেকে একজন পর্যটক খাতের কর্মী বলেই পরিচয় দিতে পছন্দ করা যাকি স্বচক্ষে উপলব্ধি করেন পর্যটন খাতে দক্ষ কর্মীর অভাব। দুঃখজনক হলেও সত্য দেশে এখনও পর্যটন খাত সেভাবে গড়ে ওঠেনি। কিন্তু সরকারী বেসরকারী সব পরিসংখ্যানই বলছে পর্যটন হতে পারে দেশের জন্য এক স্বর্ণের খনি। এই খাতে কর্মীও যে খুব বেশি তাও নয়। এই অল্প কর্মীর একটা বড় অংশই যদি আবার অদক্ষ থাকে তাহলে এই খাতের অবস্থা দুরবস্থায় পরিণত হবে। ২০১৭ সালের শেষ দিকে যাকি সৌদি এয়ারলাইন্সের চাকরি ছেড়ে আসেন। পর্যটন এবং এভিয়েশন খাতের জন্য কিছু একটা করার পরিকল্পনা মাথায় অনেক আগেই ছিল। কিন্তু সেটার জন্য প্রচুর সময় দিতে হবে। আর সময় দেয়ার একমাত্র উপায় চাকরি ছাড়া। আর এভাবেই যাত্রা শুরু তার হাতে গড়া এইচ বি এভিয়েশন ট্রেনিং সেন্টারের। বর্তমানে এইচ বি এভিয়েশন এয়ার টিকেটিং এ্যান্ড ট্রাভেল ট্যুরিজম প্রফেশনাল কোর্সসহ নানা বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। বিগত বছরগুলোতে একই ধরনের প্রশিক্ষণ নিতে চাইলে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হতো, যাকি সেটাকে পাঁচ ভাগের এক ভাগ বা তারও কমে নিয়ে এসেছেন। অনেক সময় দেশের ভেতর এরকম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও ছিল না। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি থেকে সফলভাবে ৭টি ব্যাচ প্রশিক্ষণ শেষে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এবং ট্রাভেল এজেন্সিতে কর্মরত আছে। ঢাকার মিরপুরে নিজ বাসভবনের একটি অংশকে যাকি তার প্রশিক্ষণকেন্দ্রে রুপান্তর করেছেন। যাকির মতে শিখতে চাওয়া এবং শেখাতে চাওয়া দুধরনের লোকই ছিল এই খাতে। কিন্তু ছিল না উদ্যোগ। তিনি সেটাই করেছেন। এইচ বি এভিয়েশন ট্রেনিং সেন্টার বাংলাদেশে প্রথম ই-টিকেটিং এর ওপর ই-লার্নিং কোর্স শুরু করতে যাচ্ছে। এই ই-লার্নিং এর মাধ্যমে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কেউ ইন্টারনেট ব্যবহার করেই-টিকেটিং এবং ট্রাভেল ট্যুরিজম খাতের এর কাজ শিখতে পারবেন। চ্যালেঞ্জ কম ছিল না। ৩ বছর আগে যাকি এমন এক চ্যালেঞ্জিং পথে যাত্রা শুরু করেছিলেন যা মানুষের কাছে ছিল অচেনা। যাকির বিশ্বাস একদিন দেশে মালয়েশিয়া কিংবা থাইল্যান্ডের মতো পর্যটন শিল্প বিকশিত হয়ে উঠবে। আর সেই দিন নির্মাণের ভাগীদার সেও!
×