ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আতলেতিকোকে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ ঘরে তুললো রিয়াল মাদ্রিদ

প্রকাশিত: ২৩:৪৩, ১৩ জানুয়ারি ২০২০

আতলেতিকোকে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ ঘরে তুললো রিয়াল মাদ্রিদ

অনলাইন ডেস্ক ॥ নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটেও জালের দেখা পেলো না কেউ। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকার নামক ভাগ্য পরীক্ষায় আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ ঘরে তুলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সৌদি আরবের কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে রোববার রাতে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে গোলশূন্য সমতার পর টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে জিতেছে জিনেদিন জিদানের দল। রিয়ালের এটি একাদশ স্প্যানিশ সুপার কাপ। সর্বোচ্চ ১৩ বার জিতেছে বার্সেলোনা। শুটআউটে চারটি শট নিয়ে সবকটিতে গোলের দেখা পায় রিয়াল। লক্ষ্যভেদ করেন দানি কারভাহাল, রদ্রিগো, লুকা মদ্রিচ ও সের্হিও রামোস। বিপরীতে আতলেতিকোর প্রথম শট পোস্টে মারেন সাউল নিগেস, থমাসের শটটি ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া। তাদের তৃতীয় শটে জালে বল পাঠান কিরান ট্রিপিয়ার। বল দখল, ডান দিক দিয়ে আক্রমণ-সব হিসেবেই প্রথমার্ধ জুড়ে আধিপত্য ছিল রিয়ালের। কিন্তু আতলেতিকোর জমাট রক্ষণ ভেদ করে তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। লক্ষ্যে দুটি শট অবশ্য নিয়েছিল দলটি, কিন্তু তার কোনোটিই প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে তেমন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। পাল্টা আক্রমণে বিরতির আগে একমাত্র উল্লেখযোগ্য সুযোগটি পায় আতলেতিকো। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশ করেন তরুণ পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড জোয়াও ফেলিক্স। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকা রিয়াল ৬৭তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো। তবে গোলমুখে বল পেয়ে ঠিকমতো হেড করতে পারেননি মিডফিল্ডার ভালভেরদে। বল তার মাথা ছুঁইয়ে পায়ে লেগে বাইরে চলে যায়। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশ করেন আতলেতিকোর ভিতোলো। ৮০তম মিনিটে থিবো কোর্তোয়ার নৈপুণ্যে বেঁচে যায় রিয়াল। ছোট ডি-বক্সের বাইরে থেকে আলভারো মোরাতার শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান বেলজিয়ান গোলরক্ষক। যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে থমাসের বাঁকানো ফ্রি-কিক কোর্তোয়া ঠেকিয়ে দিলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১১১তম মিনিটে মুহূর্তের ব্যবধানে দুটি সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। কিন্তু লুকা মদ্রিচের পর মারিয়ানো দিয়াসও গোলরক্ষক বরাবর শট নেন। দুই মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে সবাইকে ছাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়া মোরাতাকে পেছন থেকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ভালভেরদে। এ নিয়ে দুদলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। রিয়ালের দানি কারভাহাল ও আতলেতিকোর আনহেল কোররেয়া, স্তেফান সাভিচকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। বাকি সময়ে প্রতিপক্ষে এক জন কম থাকার সুযোগে প্রচণ্ড চাপ বাড়ায় আতলেকিতো। দুটি সুযোগও পেয়েছিল তারা। কিন্তু কোর্তোয়াকে পরাস্ত করতে পারেনি দলটি। টাইব্রেকারেও তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান কোর্তোয়া। সঙ্গে নিজেদের ভুল। সেই সুযোগে শুটআউটে শতভাগ সাফল্যে মৌসুমের প্রথম শিরোপা জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে রিয়াল। প্রথা ভেঙে এবার নতুন আঙ্গিকে চার দলের অংশগ্রহণে দেশের বাইরে হলো প্রতিযোগিতাটি। সেমি-ফাইনালে ভালেন্সিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল গ্যারেথ বেল, করিম বেনজেমা ও এদেন আজারকে ছাড়া খেলতে আসা রিয়াল। দ্বিতীয় মেয়াদে রিয়ালের কোচ হিসেবে প্রথম শিরোপার স্বাদ পেলেন জিদান। সাবেক ফরাসি কিংবদন্তি ফুটবলারের অধীনে এই নিয়ে দশম শিরোপা জিতল ইউরোপের সফলতম দলটি।
×