ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস-২) প্রকল্প বিষষক কর্মশালা

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ১২ জানুয়ারি ২০২০

নীলফামারীতে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস-২) প্রকল্প বিষষক কর্মশালা

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নীলফামারীতে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল সহায়তা প্রকল্প (এনআইএস-২) বিষষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় “স্বচ্ছ, জবাবদিহিতা ও দুর্নীতিরোধে সরকারী কাজে শুদ্ধাচার কৌশলপত্র পরিকল্পনা গ্রহনে,” মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সহযোগিতায় ও সদর উপজেলা পরিষদের আয়োজনে আজ রবিবার সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে দিনব্যাপী কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিনা আকতারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী। এসময় আমন্ত্রিতদের প্রশ্নের উত্তর দেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (এনআইএস-২) প্রকল্পের জাতীয় কনসালট্যান্ট শফিউল আলম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল মোতালেব সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহিদ মাহমুদ, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব নাহিদ সুলতানা, জাইকা গভর্ন্যান্স এক্সপাট আখিকো ইয়ামা সাকি, প্রকল্পের জনসংযোগ কনসালটেন্ট কুহু মান্নান প্রমুখ। সভায় শুদ্ধাচার বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকারের ভুমিকার উপর একটি মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিনা আকতার। জাইকার অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল সহায়তা প্রকল্প (এনআইএস-২) প্রকল্পে বিষয়বস্তু তুলে ধরেন মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব নাহিদ সুলতানা। তিনি জানান, জাইকার অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল সহায়তা প্রকল্প (এনআইএস-২) প্রকল্পের অধীনে জাতীয় শুদ্ধাচার বিষয়টি দেশব্যাপি ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে দেশের আটটি বিভাগের আট উপজেলা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনকে পাইলট প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। উপজেলাগুলি হলো নীলফামারী সদর, যশোরের চৌগাছা, বরিশালের বাকেরগঞ্জ, চট্রগ্রামের হাটহাজারি, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া, ময়মনসিংহের ভালুকা, রাজশাহীর পবা ও সিলেটের গোলাপগঞ্জ। কর্মশালায় বক্তারা বলেন, 'শুদ্ধাচার হলো সততা নৈতিকতা ধারা প্রভাবিত আচরণ। সমাজের কালোত্তীর্ণ মানদন্ড, নীতি ও প্রথার প্রতি আনুগত্য। ব্যক্তিপর্যায়ে শুদ্ধাচার হলো কর্তব্যনিষ্ঠা সততা তথা চরিত্রনিষ্ঠা। ব্যক্তির সমষ্টিতেই প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয় এবং তাদের সম্মিলিত লক্ষ্যই প্রতিষ্ঠানে প্রতিফলিত হয়। তাই প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় ব্যক্তি পর্যায়ে শুদ্ধাচার চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রীয় আইন-কানুন, প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম-নীতি ও দর্শন এমনভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হওয়া উচিত যাতে তা শুদ্ধাচারী জীবন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হয়।' কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, ৬ উপজেলার ইউএনও, ইউপি চেয়ারম্যান, বেসরকারি এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক প্রতিনিধিসহ সমাজের বিভন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
×