ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু চলবে ১৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ৯ জানুয়ারি ২০২০

 সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু চলবে ১৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত

সংসদ রিপোর্টার ॥ সরকার ও বিরোধী দলীয় সদস্যদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে চলতি সংসদের দ্বিতীয় বছরের প্রথম (শীতকালীন) অধিবেশন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। এরআগে অনুষ্ঠিত সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধিবেশনটি আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বৈঠকে কমিটির সদস্য সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, এ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বি মিয়া, আনিসুল হক, গোলাম মোহাম্মদ কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং নূর-এ আলম চৌধুরী অংশ নেন। সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, ওই বৈঠকে চলতি অধিবেশন ১৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে অধিবেশন বসবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে ২২ ও ২৩ মার্চ বিশেষ অধিবেশন বসবে। ২২ মার্চ অধিবেশনের শুরুর পূর্বে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে সকল সংসদ সদস্য জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিশেষ অধিবেশনে যোগ দিবেন। এছাড়া শিশু দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ১৯ মার্চ শিশুদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ এর অনুষ্ঠান শুরু করবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকারের অনুপস্থিতিতে অধিবেশন পরিচালনার জন্য ৫ সদস্যের সভাপতিমন্ডলী নির্বাচিত করা হয়। তাঁরা হলেন- অধ্যাপক আলী আশরাফ, শহীদুজ্জামান সরকার, ডা. হাবিবে মিল্ল¬াত, কাজী ফিরোজ রশীদ ও সৈয়দা জাকিয়া নূর। অধিবেশনের শুরুতে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ সদস্যদের ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় এই অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেবেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সংসদ সদস্যরা আলোচনায় অংশ নিবেন। সংসদ সদস্যদের প্রাণবন্ত আলোচনার মধ্য দিয়ে এই অধিবেশনটি কার্যকর হবে, এটাই প্রত্যাশা করছি। এরপর নিয়মানুযায়ী ঢাকা-১০ আসন শূণ্য ঘোষণার বিষয়টি সংসদকে অবহিত করেন স্পীকার। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা ১৮৩, ঢাকা-১০ হতে নির্বাচিত সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করেছেন। তাঁর পদত্যাগপত্রটি বিধিসম্মত হওয়ায় আমি তাঁর গ্রহণ করেছি। গত ২৯ ডিসেম্বর বিকেল থেকে তার আসনটি শূণ্য হয়েছে। উল্লেখ্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ব্যারিষ্টার ফজলে নূর তাপস। এদিকে বছরের প্রথম অধিবেশন ও সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবন এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তোলা হয়। সকাল থেকেই চারপাশে অবস্থান নেয় বিপুল সংখ্যক র্যাব ও পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। যে কোন ধরণের অনাকাঙ্খিত পরিস্থতি এড়াতে জলকামান থেকে শুরু করে সব ধরণের ব্যবস্থা রাখে প্রশাসন। এমনকি সংসদ ভবনে প্রবেশ নিয়েও ছিলো কঠোর কড়াকড়ি।
×