ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে দেশের জনগণ আশাহত হয়েছে : ফখরুল

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৮ জানুয়ারি ২০২০

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে দেশের জনগণ আশাহত হয়েছে :  ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে দেশের জনগণ আশাহত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে দেশের মানুষকে আশা রাখতে বলেছেন, ভরসা রাখতে বলেছেন। সেই ভরসা মানুষ কোথা থেকে রাখবে। দেশের অর্থনীতি চরমভাবে নিচে নেমে গেছে। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে অর্থনীতির যে বর্ণনা দিয়েছেন বাস্তব চিত্র তার পুরো উল্টো। ব্যাংকগুলো ভেঙ্গে পড়েছে, মানুষ আস্থা রাখবে কোথায়। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে জাতি হতাশ ও ক্ষুব্দ হয়েছে। ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী দোষারোপ করছেন শুধু বিএনপিকে। বিএনপি নাকি সন্ত্রাস করেছে। তিনি ভুলে গেছেন ওনারা যে কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছেন। সেই সময় বাসে ১১ জন ব্যক্তিকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। আর অনেক লোক নিহত হয়েছিল এই আন্দোলনের ফলে। দেশের রাজনীতির যে কালচার আগে ছিল, এখনও আছে। তারা হত্যা করেছে, তুলে নিয়ে গিয়ে মারছেন, নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে, গুম হয়ে যাচ্ছে। এই জিনিসগুলো প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে আসেনি। মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের রাজনীতিতে অর্থনীতি হচ্ছে প্রধান সঙ্কট। এটা হচ্ছে পুরোপুরি ভাবে রাজনৈতিক সঙ্কট। একটি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এমন হয়েছে যে, ৩০ তারিখের নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর রাতেই হয়ে গেছে। সেই হিসেবে জাতির একটি প্রত্যাশা ছিল সঙ্কট নিরসনের একটি পথ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে থাকবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতি আশা করেছিল প্রধানমন্ত্রী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নির্বাচনের কথা বা এমন কেন ইঙ্গিত দেবেন অথবা কোন একটা সংলাপের কথা বলবেন কিন্তু কেনটাই তিনি করেননি। এই সঙ্কট নিরসনের জন্য তিনি কোন পথ দেখাননি। ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেই বক্তব্যগুলো রেখেছেন যা সত্য নয়। যেমন তিনি বলেছেন, ৭৫ এর পরের বছরগুলোতে মানুষ জরাজীর্ণ ছিল, মানুষের কঙ্কাল দেহ পড়েছিল। ৭২ থেকে ৭৫ সাল এদেশে একটি চরম দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আমলে, তাদের দুঃশাসনের কারণে। মির্জা ফখরুল বলেন, ৭৫ এর পরে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এদেশে পরিবর্তন ঘটে। আজকে দেশে যে অর্থনৈতিক ভিত্তি এটার রচনা করেন জিয়াউর রহমান। এর মধ্যে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন। মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেন। যার মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি মুক্তবাজার অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে তোলেন। বিদেশে উন্মুক্ত রফতানি বাড়ানো হয়। সবচেয়ে বেশি জোড় দেয়া হয় গার্মেন্টস সেক্টরগুলোতে, যার মাধ্যমে আমরা টিকে আছি এবং রেমিট্যান্স আসছে।
×