ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির সব নেতাই প্রচারে অংশ নিতে পারবেন ॥ এইচটি ইমাম

প্রকাশিত: ০৪:০২, ৮ জানুয়ারি ২০২০

বিএনপির সব নেতাই প্রচারে অংশ নিতে পারবেন ॥ এইচটি ইমাম

অনলাইন ডেস্ক ॥ আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ার‌ম্যান এইচটি ইমাম বলেন, নির্বাচনী আচরণ-বিধি অনুযায়ী-সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্ব পূর্ণ ব্যক্তিরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন না। এক্ষেত্রে বিএনপি মহাসুবিধায় আছে। তাদের তো সব নেতাই প্রচারে অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু আমাদের তো মুখে কুলুপ লাগানো। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে আজ বুধবার নির্বাচন ভবনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ২০০৪ সালের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের বিষয়টি আমিই সামনে এনেছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতিতে আমাদের চাইতে বিএনপির অনেক উপরে। তাদের প্রচার কাজ চালাতে বাধা নেই। আচরণ-বিধিতে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে মন্ত্রী, এমপিদের বাধা রয়েছে। কিন্তু ঢাকার দুই সিটি ভোটের কার্যক্রমে এমপিদের সম্পৃক্ত করেছে আওয়ামী লীগ। বিষয়টি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা তো দলীয় কার্যক্রম। নির্বাচনী কার্যক্রম নয়। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারও এখন শুরু হয়নি। সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ডিএনসিসি নির্বাচনের আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচন ক্যাম্প উদ্বোধন করেছেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড সরকার দলীয় এমপিরা আরও করবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তো বলতে পারবো না। সাংবাদিকদের অন্য প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়নি। নিয়োগ দেওয়া হলে তখন দেখবো, দলীয় কেউ নিয়োগ পেয়েছে কিনা। প্রধানমন্ত্রী এই রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে সুষ্ঠ ও অবাধ ভোটগ্রহণ হোক। এজন্য সরকার কী সহায়তা করতে পারে, সেটা নিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলাম। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে তিনি বলেন, যন্ত্র আওয়ামী লীগ, বিএনপি চেনে না। কমিশনকে ধন্যবাদ। তারা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন, যারা দায়িত্ব পালন করবেন, তারা বিষয়টা জানেন। সেনাবাহিনী এখানে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেবে। ব্যাকআপ হিসেবে ৫০ শতাংশ মেশিন রাখা হবে। এতে একটিতে সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি লাগিয়ে দেওয়া যায়। বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ের অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা এ ধরনের কোনো ঘটনা দেখিনি। এমন অভিযোগ যারা করছেন, তারা সবসময়ই করেন। সবসময়ই এমন বলেন। কাউকে ধরপাকড় ও এলাকা ছাড়ার মতো পরিস্থিতি ঘটেনি। আচরণ-বিধি সংশোধন করে নিজেরা সুবিধা চান কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিস্থিতি যদি সৃষ্টি হয় তবে, সংশোধন নিয়ে ভাবা যাবে। আমরাই জেনে-শুনে আইন করেছি।
×