ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে বসুন্ধরা কিংস

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ৩ জানুয়ারি ২০২০

টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে বসুন্ধরা কিংস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠেছে শক্তিশালী বসুন্ধরা কিংস। শুক্রবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে তারা ৩-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ পুলিস ফুটবল ক্লাবকে। বিজয়ী দল খেলার প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৮ আসরেও ফাইনালে উঠেছিল ‘দ্য কিংস’ খ্যাত বসুন্ধরা। তবে সেবার তারা আবাহনী লিমিটেডের কাছে ৩-১ গোলে হেরে গিয়েছিল। আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির মুখোমুখি হবে বসুন্ধরা। শুক্রবার অনুষ্ঠিত সেমির ম্যাচে কিংসই পরিস্কার ফেভারিট ছিল। পুলিস ছিল আন্ডারডগ। তবে প্রথমার্ধে পুলিস বেশ ভালই খেলেছিল। দ্বিতীয়ার্ধে বসুন্ধরা ক্রমশ আধিপত্য বিস্তার করে খেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পুলিসের ভরসা মার্কিন ফরোয়ার্ড সিডনি রিভেরাকে এদিন বোতলবন্দী করে রেখেছিল কিংসের রক্ষণভাগ। তবে নবাগত দল হিসেবে যথেষ্ট ভালই খেলেছে পুলিস। ১৭ মিনিটে পেনাল্টি লাভ করে কিংস। বল নিয়ে কলিনড্রেস বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়লে তাকে ফাউল করে ফেলে দেন পুলিসের ডিফেন্ডার খান মোঃ তারা। রেফারি তারাকে হলুদ কার্ড দেখানোর পাশাপাশি পেনাল্টির নিদের্শ দেন। পেনাল্টি থেকে ডান পায়ে ঠাণ্ডা মাথায় গোল করে কিংসকে এগিয়ে দেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ (১-০)। গোলররক্ষক হিমেল বা দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি। ৫০ মিনিটে সতীর্থ ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষের কাছ থেকে পাস পেয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে বল নিয়ে একক প্রচেষ্টায় পুলিসের বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়েন কলিনড্রেস। বক্সে ঢুকেই গোলরক্ষক হিমেলকে একা পেয়ে যান। হিমেল বল ধরার জন্য পজিশন নিয়ে নেন। একইসঙ্গে কলিনড্রেসও ডান পায়ের জোরালো-উঁচু কৌনিক শট নেন। সেই শট হিমেলের হাতে লাগলেও তা জালে জড়িয়ে যায়। ব্যবধান দ্বিগুণ করে কিংস (২-০)। দ্বিতীয়ার্ধের সংযুক্তি সময়ে (৯০+৩ মিনিটে) পুলিসের হারের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়ে আরেকটি গোল করে কিংস। পুলিসের বক্সের ভেতরে জটলার মধ্য বল পেয়ে বা পায়ের উঁচু-জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস দেলমন্তে (৩-০)। এর কয়েক সেকেন্ড পরেই রেফারি খেলা শেষের বাঁশি বাজালে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে যাবার চিত্তসুখ নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্কার ব্রুজোনের শিষ্যরা।
×