ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ার ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন চালু

প্রকাশিত: ০৯:০০, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

কলাপাড়ার ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন চালু

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ কলাপাড়ার ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন মঙ্গলবার বিকেল ৪ টা ৫২ মিনিটে সফলভাবে চালু করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ গ্রীড সাব-স্টেশন প্রান্ত থেকে ৪০০ কেভি ভোল্টেজের লাইনটি চালু করা হয়। প্রায় ১৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ডবল সার্কিটের হাইভোল্টেজ সঞ্চালন লাইনটি পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পায়রা বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে পটুয়াখালী সদর থেকে বরগুনা-ঝালকাঠি-বরিশাল-মাদারিপুর হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর উপজেলায় নবনির্মিত ৪০০/২৩০ কেভি গ্রীড উপকেন্দ্রে সংযুক্ত হয়েছে। পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড সুত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে। নবনির্মিত লাইনটির প্রত্যেক ফেইজ চারটি করে অত্যাধুনিক তার ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে অন্যান্য ৪০০ কেভি লাইনের চেয়ে এ লাইনের সঞ্চালন সক্ষমতা কয়েকগুন বেশি। এ লাইনের মাধ্যমে পায়রায় নির্মানাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতকেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুত সঞ্চালন করা হবে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লাইন হওয়ায় ভবিষ্যতে ওই এলাকায় আরও বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করা হলেও তা এ লাইনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা সম্ভব হবে। পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি’র) এর পিআরও এবিএম বরুদ্দোজা খান জানান, গৃহীত পায়রা-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন এবং গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি গ্রীড উপকেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় লাইনটি নির্মাণ করা হয়েছে। পায়রা থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত লাইনটি নির্মাণ করতে চারটি খরস্রোতা নদী পায়রা, সন্ধ্যা, সুগন্ধা ও লাউকাঠি নদী পার হতে হয়েছে। লাইনটি করতে নদীগুলোর উভয়প্রান্তে সুউচ্চ রিভারক্রসিং টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। পিজিসিবি’র তত্ত্বাবধানে কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান জিএস ইঞ্জিনিয়ারিং এ কনস্ট্রাকশন করপোরেশন টার্নকী পদ্ধতিতে এ কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে। উল্লেখ্য ২০১৭ সালে এ লাইনের নির্মাণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। লাইনটি নির্মাণ চুক্তিমূল্য ছিল এক হাজার চার শ’ ১২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার ও পিজিসিবি যৌথভাবে অর্থের যোগানদাতা। এ সঞ্চালন লাইন সফলভাবে চালুর মধ্য দিয়ে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের সফলতা আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।
×