ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দিল্লির রাজপথে ট্রাফিক নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ০০:৫৮, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দিল্লির রাজপথে ট্রাফিক নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক ॥ নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের কারণে দিল্লির বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি চলাচলে বিধি নিষেধ জারি, ফলে রাস্তায় বেরিয়ে সাংঘাতিক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে রাজধানীর মানুষজনকে। ওই বিতর্কিত আইনের প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে, তার ফলে ব্যাপক জ্যাম দেখা গেছে দিল্লি-গুরগাঁও সীমান্তে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায় দিল্লি পুলিশ বিভিন্ন রাস্তাঘাট ব্যারিকেড করে রেখেছে এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত বিক্ষোভ রুখতে যান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, ফলে ব্যস্ত রাস্তায় সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য গাড়ি। সূত্রের খবর, দিল্লির লাল কেল্লার কাছে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। ট্র্যাফিক পুলিশ জানিয়েছে যে, বিক্ষোভকারীরা কোনও গাড়ির মধ্যে আত্মগোপন করে যাতে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থলে না পৌঁছতে পারেন সে জন্যে তাঁরা শহরে প্রবেশ করা প্রতিটি গাড়িকেই পরীক্ষা করে দেখে নিচ্ছেন। পুলিশ এর আগেই ঘোষণা করে দেয় যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনস্বার্থ রক্ষায় কোনও প্রতিবাদ মিছিল করতে দেওয়া হবে না । "আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২ টায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে দিল্লির মাণ্ডি হাউস থেকে যন্তর-মন্তর পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করার জন্যে অনুমতি চায় কমিউনিস্ট দল, কিন্তু সেই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি", বুধবারই একটি টুইট বার্তায় ঘোষণা করা হয়। পুলিশ ঘোষণা করেছে যে, মথুরা রোড-কালিন্দী কুঞ্জ রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং নয়ডা থেকে আসা যাত্রীদের ডিএনডি ফ্লাইওয়ে বা অক্ষরধাম সড়ক দিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করতে বলা হচ্ছে। দিল্লি মেট্রো চলাচলও অনেকাংশে প্রভাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছে তাঁরা। প্রশাসন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, জসোলা বিহার, শাহীনবাগ, প্যাটেল চক, লোক কল্যাণ মার্গ, শিল্প ভবন, আইটিও, খান মার্কেট এবং মুনিরকা স্টেশন এবং প্রগতি ময়দানের প্রবেশ ও প্রস্থান দ্বার বন্ধ করে রেখেছে। চলতি সপ্তাহে দু'বার বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় রাজধানী। সেই জন্যেই আগাম সতর্কতা হিসাবে হয়তো মিলল না অনুমতি। লাল কেল্লা থেকে ওই প্রতিবাদ মিছিল হওয়ার কথা ছিল। তবে পুলিশ অনুমতি না দিলেও, "মিছিল হচ্ছে", "আমরা ভারতের মানুষ", এমন নানা বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। তাই এটা এখনও পরিষ্কার নয় যে বিক্ষোভকারীরা ওই সমাবেশ উপলক্ষে দিল্লির লাল কেল্লায় একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করবেন কিনা।
×