ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

"ভুয়া" ভিডিও: রাজ্যপাল এবং বিজেপিকে একযোগে দুষলেন মমতা

প্রকাশিত: ০০:৫১, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক ॥ এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় একসঙ্গে নিশানা করলেন বিজেপি এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। তাঁকে নিয়ে "ভুয়ো" ভিডিও তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি, এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন তিনি। পাশাপাশি সাংবিধানিক পদে আসীন রাজ্যপাল কীভাবে এমন একটি ভিডিওয়ের সত্যতা যাচাই না করেই এ জাতীয় ফুটেজ টুইট করলেন তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি, রাজ্যপালের এই কাণ্ডকারখানা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, বলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালের টুইটে পোস্ট করা ওই ভিডিওতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি ক্লিপিংস ছিল, একটিতে দেখা যাচ্ছে তিনি ২০০৫ সালে লোকসভায় বাংলায় "অনুপ্রবেশ" সম্পর্কিত অভিযোগ করছেন এবং বিষয়টিকে তিনি "বিপর্যয়" বলে উল্লেখ করছেন। সঙ্গে এই ভিডিওতে দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সময়ের এক ক্লিপ যাতে তিনি নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ভাষণ দিচ্ছেন। ২০০৫ সালের ফুটেজ বলে দাবি করা ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী হিসাবে বক্তব্য রাখার সময় পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এবং দাবি করছেন যে অনেক বাংলাদেশি রাজ্যের ভোটার তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তারপরে তাঁকে তৎকালীন ডেপুটি স্পিকার চরণজিৎ সিং আটওয়ালের দিকে কিছু কাগজ ছুঁড়ে মারতে দেখা যায়। "বাংলায় এই সময়ে সিএবি প্রয়োজন" শিরোনামে এই ভিডিওটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক ভাষণের ফুটেজও রয়েছে যেখানে তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে বিরোধিতা করছেন (এটি সংসদে পাস হওয়ার পরে এখন আইনে পরিণত হয়েছে)। ভিডিওর এই অংশটির শিরোনাম রয়েছে "সিএবি নিয়ে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে পরিচালিত করা হচ্ছে"। মঙ্গলবার রাতে রাজ্যপাল এবার টুইটারে একটি ফেসবুক ভিডিও পোস্ট করেন যাতে মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে একটি শিরোনাম দেন তিনি । রাজ্যপাল লেখেন, "বিশ্লেষণমূলক ভিডিও যা যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে"। "ওঁরা আমার বিরুদ্ধে একটি ভুয়ো ভিডিও ছড়াচ্ছে", সিএএর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা চলাকালীন ওই অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন যে, তিনি ওই সময় বলতে চেয়েছিলেন যে, সিপিআই-এম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার তখন ঠিক মতো নির্বাচন করতে দিত না এবং "এমন কিছু লোক ছিল যাদের নাম ভোটার তালিকায় ৫০ বার প্রকাশিত হত"। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে তিনি সেই সময় "কোনও আইডি কার্ড নেই, কোনও ভোটও নেই" স্লোগান দিয়ে প্রচার করেন এবং ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই, ওই ইস্যুতে আন্দোলনের সময় পুলিশ গুলি চালায়, শহিদ হন ২১ জন কর্মী । "তারপরে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে সফল হই", এও দাবি করেন তিনি। "মিথ্যে কথা বলবেন না। ভুয়ো ভিডিও প্রকাশ করবেন না। কিছু লোক মিথ্যে বলছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও যখন এমনটা করেন তখন খারাপ লাগে", কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর অবস্থান বদল নিয়ে প্রশ্ন তুললে এই জবাব দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
×