ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কুয়াকাটা সৈকতের শুণ্য পয়েন্ট থেকে সরানোর দাবি

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯

কুয়াকাটা সৈকতের শুণ্য পয়েন্ট থেকে সরানোর দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ কুয়াকাটা সৈকতের যেখানটায়, শুন্যপয়েন্টে প্রতিদিন শত শত পর্যটক-দর্শনার্থী গোসল করেন। সেখানে এখন যেন ফিশিংসহ বিভিন্ন ধরনের নৌযানের ঘাট হয়ে গেছে। শত শত নৌযান সেখানটায় নোঙর করে রাখা হয়। ফলে নৌযানের ইঞ্জিনের ব্যবহৃত তেল সাগরের পানিতে মিশে নষ্ট হচ্ছে। ওই পানি তেলতেলে দুষিত হয়ে যাচ্ছে। পর্যটক-দর্শনার্থীরা গোসল করতে নেমে বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। এমনকি ওইসব বোটের বর্জ্য পর্যন্ত সাগরে ফেলা হচ্ছে। পর্যটকরা এক ধরনের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরছেন। তাঁদের দাবি সৈকতের শূণ্যপয়েন্ট থেকে অন্তত দুই কিলোমিটার এলাকায় কোন ধরনের নৌযান ভেড়ানো না থাকে। তাইলে বর্জ্য তেলের দুষণ থেকে রক্ষা পাবেন। এনিয়ে স্থানীয় ট্যুরিস্ট পুলিশ, বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি কিংবা কুয়াকাটা পৌরসভা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। ফলে বিপাকে পড়ছেন আগত পর্যটক দর্শনার্থী। মারুফ হাসান কামাল এক দর্শনার্থী জানালেন, মাছ ধরার ট্রলার ছাড়াও পর্যটকের ভ্রমনের বোটসহ স্পিডবোটের ব্যবহৃত জ্বালানি গোসল করার স্পটে ভাসছে পানিতে। ফলে বিরক্তিকর পরিবেশের শিকার হচ্ছেন তারা। এসকল বোট দুরে কোথাও সরানো প্রয়োজন। বুধবার দুপুরের পরে দেখা গেছে শত শত নৌযান কুয়াকাটা সৈকতের শূণ্যপয়েন্টে ভেড়ানো রয়েছে। তেলের বর্জ্য পানির সঙ্গে ভাসছে। পর্যটকরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন। এনিয়ে মৎস্য শিকারী ট্রলার মালিক, ট্যুরিস্ট বোট মালিক, স্পিডবোট মালিক কেউ কোন দায় নিতে রাজি নয়। তারা অনেকে বলেছেন কয়দিন আগে সরিয়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু ফের এখানটায় ভিড় করে রাখা হয়েছে। বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যসচিব কলাপাড়ার ইউএনও মুনিবুর রহমান জানান, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। তারপরও যদি কেউ পর্যটকের সৈকতে বিচরণ থেকে কোন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে তাইলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×