ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রকাশিত: ১০:০৮, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার পৃথক বাণী দিয়েছেন। খবর বাসসর। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রেখে দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বিজয়ের এই মাহেন্দ্রক্ষণে দেশবাসী ও প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশীকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, স্বাধীনতা বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ অর্জনের পেছনে রয়েছে, শোষণ-বঞ্চনার পাশপাশি রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে স্বাধীনতার বীজ উপ্ত হয়েছিল দীর্ঘ আন্দোলন /সংগ্রাম ও নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে তা পূর্ণতা পায়। তাঁরই নেতৃত্বে ও দিক-নির্দেশনায় দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এদিনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। রাষ্ট্রপতি বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাবনতচিত্তে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এ ছাড়া গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। বিজয়ের এই দিনে তিনি শ্রদ্ধা জানান জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠনক-সমর্থক, বিদেশী বন্ধু, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যাঁরা জাতির বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। জাতি তাদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি ছিল স্বাধীনতার লক্ষ্য। জাতির পিতা সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ তার পরিবারের আপনজনদের নৃশংস হত্যাকা-ের ফলে দেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থমকে দাঁড়ায়। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসন ও অগণতান্ত্রিক সরকারের। তিনি বলেন, দেশে আজ মুক্তিযুদ্ধের পতাকাবাহী গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ও সরকারবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে দেশ, গণতন্ত্র ও সরকারবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের এই উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এ বিজয় দিবসে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহীদ, সম্ভ্রমহারা দুই লাখ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বাঙালী জাতির এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালী জাতি দীর্ঘ তেইশ বছর রাজনৈতিক সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। ৪৯তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনি দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য পরিচালনা ও বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে।
×