ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাঙ্ককে হাজার হাজার মানুষের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৮:১০, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯

 ব্যাঙ্ককে হাজার হাজার মানুষের  সরকারবিরোধী বিক্ষোভ

২০১৪ সালের একটি অভ্যুত্থানের পর শনিবার ব্যাঙ্ককে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন। সাবেক সামরিক শাসক প্রয়ুত চ্যান-ও-চে সরকারের বিরোধিতাকারী একটি দলকে কর্তৃপক্ষের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের পর এই গণবিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হলো। রয়টার্স। শনিবারের এই বিক্ষোভ রাজপথে অতীতের বিক্ষোভ-স্মৃতিগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করেছে, যা গত দুই দশকের অশান্ত রাজনৈতিক সময়ের পরিক্রমায় ব্যাঙ্কককে ধরাশায়ী করে দিয়েছিল। ফিউচার ফরওয়ার্ড পার্টির ৪১ বছর বয়সী নেতা থানাথ্রন জাওয়ানগ্রন-গ্রুনগ্রিত শনিবার বিক্ষোভের আহ্বান করেন। তবে থাইল্যান্ডে অতীতে বিক্ষোভকালে পুলিশের তেমন উপস্থিতি দেখা যেত না, অথবা বড়সড়ো বিক্ষোভ দমনের জন্য পুলিশী বাঁধাও দেয়া হতো না। ২০১৪ সালে সড়কে সহিংসতা বন্ধের নামে প্রয়ুত ক্ষমতা দখল করে নেন। ব্যাংককের বাণিজ্যিক নগরীর এমবিকের সড়কে দাঁড়িয়ে থানাথ্রন চিৎকার করে বলেন, ‘এটি (বিক্ষোভ) শুরু হলো মাত্র। আজ আমরা আমাদের ক্ষমতার কিয়দাংশ দেখাচ্ছি। আমরা চাই, ভবিষ্যতে অন্যরা আমাদের সঙ্গে শরিক হোক। এটি আমাদের টেস্ট ম্যাচ। আমরা মোটেই ভীতু নই। তবে আগামী মাসেই আমরা দেখিয়ে দেব, আমরা কী করতে পারি।’ মার্চে নির্বাচনের পর ৬৫ বছর প্রয়ুতের নেতৃত্বাধীন সরকারের কট্টোর সমালোচনা করে চলছেন থানাথ্রন। সেসময় বিরোধীরা তাকে সেনাবাহিনীর পক্ষের লোক মনে করে তার কম সমালোচনা করেনি। থাইল্যান্ডের নির্বাচন প্যানেল সেখানের সাংবিধানিক আদালতকে ফিউচার ফরওয়ার্ড পার্টি বিলুপ্তের আহ্বান জানায়। ওই পার্টির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়, থানাথ্রন বহু মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়ে রাজনৈতিক দল পরিচালনা করে আসছেন, যেটি আইনসঙ্গত ও বৈধ নয়। গত মাসে ঠিক যে তারিখে নিবার্চনের নিবন্ধনের সময় ছিল, ঠিক সেই দিন সাংবিধানিক আদালত একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হওয়ায় থানাথ্রনকে অপরাধী সাব্যস্ত করে এবং পার্লামেন্টে সদস্য হওয়ার জন্য তাকে অযোগ্য ঘোষণা করে। পরে থানাথ্রন আদালতের এই রায়কে বিভিন্নভাবে বিতর্কিত করেন। নির্বাচনের পূর্বে জান্তা সরকারের হস্তক্ষেপে সংবিধানের সংশোধিত সংস্কারগুলোকে পুনরায় সংস্কার করার জন্য আরও অন্তত ছয়টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট গঠন করেন থানাথ্রন।
×