ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীর তিন স্থান থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু

প্রকাশিত: ১১:১২, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

রাজধানীর তিন স্থান থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা সংসদের দক্ষিণ প্লাজা, হাতিরঝিল এবং উত্তরার তিন স্থান থেকে একসঙ্গে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ক্ষণগণনার স্থান নির্বাচন পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন মেয়র। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তান থেকে লন্ডন হয়ে বাংলাদেশ আসেন তাই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ দিনটি ঠিক করা হয়েছে বলে জানান মেয়র। মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে সবাই ছবি-সেলফি তুলে বিশ্বকে জানিয়ে দেবে, দেখ কার ডাকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আগামী ১০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এই ক্ষণগণনার স্থান উদ্বোধন করবেন। এরপর থেকে এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। ঢাকায় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়, হাতিরঝিলে এবং উত্তরায় তিনটি ক্ষণগণনার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বাড়ান হবে। আতিকুল ইসলাম বলেন, জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা উপলক্ষে আমরা এখানে এসেছি। জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা কোন জায়গায় স্থাপন করা হবে সেজন্য এখানে আসা। এই ক্ষণগণনার মাধ্যমে আমরা গুনতে শুরু করব কোনদিন আমাদের সেই দিন আসে, যেদিন জাতির পিতা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু না হলে আমাদের দেশ স্বাধীন হতো না, আমরা পরাধীন জাতি হয়েই থাকতাম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এ সময় বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন ১৭ মার্চ থেকে শুরু হবে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত এ সময়কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং বর্তমান সময়েও বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক তা আমরা তুলে ধরব সবার কাছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য পুরো জাতি অপেক্ষা করছে। তাই আমাদের এই ক্ষণগণনার কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে। ক্ষণগণনার দিনটি শুরু হবে ১০ জানুয়ারি। যেদিন বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে তার প্রিয় স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন। এ সময় জাতীয় সংসদ ভবনের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খানসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×