ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউইয়র্কে আরজ আলীর জন্মোৎসব

প্রকাশিত: ০৯:৪২, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

নিউইয়র্কে আরজ আলীর জন্মোৎসব

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ প্রবাসে প্রথমবারের মতো দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরের জন্মদিন পালন করা হবে নিউইয়র্কে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজা মিলনায়তনে তাঁর ১১৯তম জন্মোৎসব পালন করা হবে। জন্মোৎসবে আরজ আলী মাতুব্বরের জীবন ও কর্ম নিয়ে এক মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন অধ্যাপক মতলুব আলী, লেখক আহমাদ মাযহার এবং কমিউনিটি এ্যাক্টিভিস্ট জাকির হোসেন বাচ্চু। এটি আয়োজন করেছে জন্মোৎসব উদযাপন পরিষদ, নিউইয়র্ক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক ডিন ও অধ্যাপক মতলুব আলী বলেন, বিজ্ঞানমনস্কতা ও মুক্তচিন্তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা আরজ আলী মাতুব্বর দর্শন এবং তাঁর জীবনাচরণ আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তাঁর সম্পর্কে অনেকে ঠিকভাবে না জেনে তাঁর দর্শনকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে থাকেন। এ জন্যই তাঁকে নিয়ে বেশি বেশি আয়োজন হওয়া প্রয়োজন। এই আয়োজন তাঁর সম্পর্কে ভুল কিছুটা হলেও দূর করবে। জন্মোৎসব উদযাপন পরিষদের সমন্বয়ক তোফাজ্জল লিটন বলেন, অনুষ্ঠানটি হবে সবার অংশগ্রহণমূলক। প্রথমে তিন বক্তা আরজ আলী মাতুব্বরের জীবনদর্শন ও সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবেন। তারপর সবাই প্রশ্ন করে বা যে কারও প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই আয়োজনে যে কোনভাবে যুক্ত হতে চাইলে বা জানতে চাইলে এ্যাক্টিভিস্ট মুজাহিদ আনসারী, মুক্তধারার সিইও বিশ্বজিৎ সাহা, বাংলাদেশের গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক সৈয়দ জাকির আহমেদ রনি এবং সাংবাদিক সনজীবন সরকার ও মাহবুব রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। আরজ আলী মাতুব্বর ১৯০০ সালের ১৭ ডিসেম্বর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দার্শনিক, মানবতাবাদী, চিন্তাবিদ এবং লেখক ছিলেন। তিনি নিজ চেষ্টা ও সাধনায় বিজ্ঞান, ইতিহাস, ধর্ম ও দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন। তাঁর লেখা বইয়ের মধ্যে আছে ‘সত্যের সন্ধানে’ (১৯৭৩) ‘সৃষ্টির রহস্য’ (১৯৭৭) ‘অনুমান’ (১৯৮৩) ‘স্মরণিকা’ (১৯৮২) ‘ম্যাকগ্লেসান চুলা’ (১৯৫০)। আরজ আলী মাতুব্বরের লেখায় উঠে এসেছে ধর্ম, জগৎ ও জীবন সম্পর্কে নানামুখী জিজ্ঞাসা। তিনি তার অর্জিত সম্পদ দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘আরজ মঞ্জিল পাবলিক লাইব্রেরি’। ১৯৮৫ সালের ১৫ মার্চ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
×