ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কবি রবিউল হুসাইন স্মরণ

প্রকাশিত: ১০:১৫, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯

 মুুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের  কবি রবিউল  হুসাইন স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার সঙ্গে মিশে আছে রবিউল হুসাইনের শ্রম-ঘাম এবং মেধা ও মনন। সম্প্রতি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই কবি ও স্থপতি। শনিবার সকালে প্রতিষ্ঠানের প্রতি নিবেদিত সেই ট্রাস্টিকে শ্রদ্ধা জানালো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। আয়োজন করে স্মরণানুষ্ঠানের। স্মরণসভায় কথা বলেন রবিউল হুসাইনের ভাই তাঈমুর হোসেন, জাদুঘরের দুই ডাঃ ট্রাস্টি সারওয়ার আলী ও সারা যাকের, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত। তাঈমুর হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ছিল রবিউল হুসাইনের প্রাণ। বলা যায় এটি ছিল তার সেকেন্ড হোম। যখনই ফোনে তার অবস্থান জানতে চাইতাম, উত্তর আসত একটাইÑ আমি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আছি। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে থাকলে তিনি যেন শক্তি পেতেন। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় রবিউল হুসাইনের অবদানের কথা স্মরণ করে সারওয়ার আলী বলেন, নব্বই দশকের শেষভাগে ‘একাত্তরের যাত্রী’ নামের একটি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন রবিউল হুসাইন। এই সংগঠনের হয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণ ও প্রচারের কাজ করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গনের আট ব্যক্তিত্ব। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রবিউল হুসাইন। জাদুঘরের আরেক ট্রাস্টি আক্কু চৌধুরীর বোনের সেগুন বাগিচার বাড়িটি ছিল বড্ড সেকেলে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত বাড়িটির অবস্থা ছিল তথৈবচ। বাড়ির স্থাপত্য কাঠামো দেখে সারওয়ার আলী সেখানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা যাবে না বলে অভিমত দেন। তবে পিছু পা হলেন না স্থপতি রবিউল হুসাইন। সেই বাড়ির অন্দরসজ্জা বদলে দিয়ে শুরু করে দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার কাজ। রামেন্দু মজুমদার বলেন, প্রকৃত অর্থেই নিভৃতচারী মানুষ ছিলেন রবিউল হুসাইন। বড় মাপের কবি ও স্থপতি হওয়া সত্ত্বেও এ নিয়ে কখনও উচ্চবাচ্য করতেন না। সত্যিকারের ভাল মানুষ বলতে যা বোঝায় তিনি তাই ছিলেন।
×